Morbi Bridge Collapse: ব্রিটিশ জমানার ব্রিজ খোলার আগে ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট! চাঞ্চল্যকর দাবি আধিকারিকের

Morbi Bridge Collapse: গত ছ' মাস ধরে এই ঝুলন্ত ব্রিজ মেরামতির কাজ চলছিল। গত ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য এই ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়।

Morbi Bridge Collapse: ব্রিটিশ জমানার ব্রিজ খোলার আগে ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট! চাঞ্চল্যকর দাবি আধিকারিকের
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (ছবি সৌজন্য়ে:PTI )
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2022 | 7:18 AM

গান্ধীনগর: মুরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে ঝুলন্ত কেবল সেতু ভেঙে ভয়াবহ কাণ্ড গুজরাটে। গতকাল এই ঘটনার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী দিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। সোমবার সকাল অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা শতাধিক। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্য়া বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট সফরেরই মাঝেই এহেন ঘটনা ঘটল গুজরাটে। ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণে তিনি সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে নিহতদের পরিবার ও আহতদের প্রতি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে গতকালই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। গুজরাটের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা। এদিকে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। তবে রাজনৈতিক তরজার ঊর্ধ্ব সবথেকে বড় প্রশ্ন এত বড় ঘটনার পিছনে কারণ কী। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীরাই জানিয়েছেন, ধারণক্ষমতার বেশি লোক ওই মুহূর্তে ব্রিজের উপর উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছেন, সেই সময় ৪০০-র বেশি সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত এক দশকে এত বড় বিপর্যর ভারতে কখনও ঘটেনি বলেই মনে করছে একাধিক মহল। নদীর পাড় ভেঙে এখন খালি হাহাকার-কান্নার শব্দই ভেসে আসছে। এর আগে ২০১৬ সালে কলকাতার পোস্তায় ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার ঘটনায় এতটা স্তম্ভিত হয়েছিল নাগরিকরা। তবে সেই দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এদিকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজ ভেঙে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছিল। মুরবির এই ঝুলন্ত সেতুর ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

সূত্রের খবর, শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিজটি। ব্রিটিশ শাসনকালে বিংশ শতাব্দীতে ২৩০ মিটার লম্বা এই ঐতিহাসিক ব্রিজটি তৈরি হয়েছিল। গত ছয়মাস ধরে মেরামতির কারণে এই ব্রিজটি বন্ধ ছিল। গত সপ্তাহেই জন সাধারণের জন্য এই ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়। মোরবি পুরসভার তরফে এই ব্রিজ মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওরেভা গ্রুপকে। মোরবির চিফ সিকিউরিটি অফিসার সন্দীপ সিং ঝালা জানিয়েছেন, ‘১৫ বছরের জন্য এই ব্রিজ দেখভাল ও অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওরেভা কোম্পানিকে। মেরামতির কাজের জন্য এটি বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।’ এদিকে সেতু মেরামতির কাজে কোন ধরনের সামগ্রী সংস্থার তরফে ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্যও নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের কোনও ধারণা নেই এই ব্রিজ খোলার জন্য এই সংস্থাকে কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল কি না।’