আইপিএস তলবকাণ্ডে সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীকেই, পাশে দাঁড়ালেন স্ট্যালিন-বাঘেলও

ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইটে লেখেন,"যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ফের সঙ্কটের মুখে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রশাসনিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে এবং অফিসারদের বদলি করছে। তাও আবার নির্বাচনের আগে। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আপত্তিকর।"

আইপিএস তলবকাণ্ডে সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীকেই, পাশে দাঁড়ালেন স্ট্যালিন-বাঘেলও
মমতাকেই সমর্থন জানালেন এমকে স্ট্যালিন ও ভূপেশ বাঘেল।
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2020 | 7:46 PM

নয়া দিল্লি: তিন আইপিএস অফিসার বদলি নিয়ে রাজ্য বনাম সরকারের দ্বৈরথে সমর্থন পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee)। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ সেই তালিকায় যোগ হলেন ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন (M K stalin)।

শনিবার সকালে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে টুইট করেন ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Bhaghel)। টুইটে তিনি লেখেন,”যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ফের সঙ্কটের মুখে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রশাসনিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে এবং অফিসারদের বদলি করছে। তাও আবার নির্বাচনের আগে। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আপত্তিকর।”

কিছুক্ষণ পরই ডিএমকে (DMK) প্রধান এম কে স্ট্যালিনও ((M K stalin)) টুইট করেন। কেন্দ্রের সমালোচনা করে তিনি লেখেন,”পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তিন আইপিএস অফিসারকে বদলি করেছে বিজেপি সরকার, তা স্বৈরাচারী ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী। দেশের সিভিল সার্ভিস দিল্লির ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে অবিলম্বে বদলির আদেশ বাতিলের আবেদন জানাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট কি রাহুল গান্ধী! বললেন, “দল চাইলে কাজ করতে রাজি”

এর আগে শুক্রবারই অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে টুইট করে বলেছিলেন,”পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ঘটনার নিন্দা জানাই। নির্বাচনের ঠিক আগে পুলিস কর্তাদের বদলির চেষ্টা করে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর হামলা এবং অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা।”

গত ১০ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)-র কনভয়ে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসারকে (IPS Officers) তলব করা হয়। রাজ্য সরকার ওই তিন অফিসারকে পাঠাতে অস্বীকার করলে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত।

আরও পড়ুন: করোনার মাঝেই কেরল হানা সিগেলার, নয়া সংক্রমণে আক্রান্ত ৬, মৃত ১