প্রেসিডেন্ট কি রাহুল গান্ধী! বললেন, “দল চাইলে কাজ করতে রাজি”

অগস্ট মাসে চিঠি বোমার পর গান্ধী পরিবারের সঙ্গে একপ্রকার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল গুলাম নবি আজাদ, শশী থারুর, আনন্দ শর্মার মতো নেতার। আজকের বৈঠকে তারা সরাসরি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট কি রাহুল গান্ধী! বললেন, দল চাইলে কাজ করতে রাজি
উল্লেখ্য, করোনার আরও এক নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, ওমিক্রন (Omicron)। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের (COVID 19 New variant)। এই স্ট্রেন এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া করোনা স্ট্রেনগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রামক। দেরি না করে আজই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2020 | 6:02 PM

নয়া দিল্লি: প্রথম দিনের বৈঠকেই নতুন বছরে নতুন মুখের আশায় জল ঢেলে দেওয়া হল। ‘বিক্ষুব্ধ’দের সঙ্গে বৈঠকে দলের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফের রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-কেই দেখা যেতে পারে, এমনটাই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর সেই জল্পনাকেই উসকে দিয়েছে বৈঠকে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, সকলের ইচ্ছা থাকলে তিনি দলের জন্য কাজ করতে রাজি।

১০ জনপথ রোডের বাসভবনে আজ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দলের বিক্ষুব্ধ ও শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও (Priyanka Gandhi)। সাত ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। কংগ্রেস নেতা পবন বনসল (Pawan Bansal) বৈঠক শেষে বলেন, “বৈঠকে কেউই রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেননি। এমনকি দলের বিরুদ্ধে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তারাও রাহুলের সপক্ষেই সমর্থন জানিয়েছেন। রাহুল গান্ধী নিজেও জানিয়েছেন যে দলের জন্য কাজ করতে চান।”

বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে রাহুল গান্ধীও দলীয় কর্মীদের মধ্যে আরও ভাল যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও দাদার সুরেই সুর মিলিয়ে নীচুস্তরের দলীয় কর্মীদের দেখভাল করার কথা বলেন।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে কংগ্রেস নেতা বনসল বলেন,”সোনিয়া গান্ধী একটি ইতিবাচক আলোচনার সূচনা করেছেন। শীর্ষ নেতৃত্ব নির্ধারণ নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে আমরা সবাই একটা বড় পরিবার এবং দলকে শক্তিশালী করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কংগ্রেসের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই, দলকে শক্তিশালী করে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আরও পড়ুন: ‘২১ দিনে করোনাযুদ্ধ জয় হয়নি, ধ্বংস হয়েছে লক্ষাধিক জীবন’, প্রধানমন্ত্রীকে তোপ রাহুলের

অগস্ট মাসে চিঠি বোমার পর গান্ধী পরিবারের সঙ্গে একপ্রকার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল গুলাম নবি আজাদ, শশী থারুর, আনন্দ শর্মার মতো নেতার। আজকের বৈঠকে তারা সরাসরি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে নতুন বছরে হয়তো শীর্ষ নেতৃত্ব রূপে নতুন কোনও মুখ দেখা যেতে পারে। তবে প্রথমদিনের বৈঠকেই সেই মুখ ফের রাহুল গান্ধীই হতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কংগ্রেসের নেতৃত্ব কে দেবেন, এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবারই দলের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা (Randip Surjewala) জানিয়েছিলেন, ৯৯.৯ শতাংশ কংগ্রেস নেতারাই রাহুল গান্ধীকে দলের নেতৃত্ব রূপে দেখতে চান। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল নিজেই।

লোকসভা নির্বাচনের পরই দলের দায়ভার ত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। সেইসময় উপযুক্ত কাউকে খুঁজে না পেয়ে সোনিয়া গান্ধীই দলের অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব নেন। তবে একের পর এক নির্বাচনে হার, দলত্যাগীদের চাপে ক্ষোভ বাড়তে থাকে দলের অন্দরে।

অগস্ট মাসে ২৩ জন দলীয় কর্মী যাবতীয় অভিযোগ জানিয়ে নেত্রীকে চিঠি পাঠান। সম্প্রতি কপিল সিবাল (Kapil Sibal), পি চিদাম্বরমের (P Chidambaram) মতো শীর্ষ নেতারা খোলাখুলি দলের সমালোচনা করাতেই আরও সতর্ক হয় কংগ্রেস প্রধান। এরপরই আজ থেকে টানা ১০ দিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

আরও পড়ুন: করোনার মাঝেই কেরল হানা সিগেলার, নয়া সংক্রমণে আক্রান্ত ৬, মৃত ১