Mahua Liquor: মহুয়ায় তৈরি হবে ‘ঐতিহ্যবাহী পানীয়’, থাকবে আইনি বৈধতা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Madhya Pradesh: সোমবার বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান মধ্য প্রদেশের মন্ডলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

Mahua Liquor: মহুয়ায় তৈরি হবে 'ঐতিহ্যবাহী পানীয়', থাকবে আইনি বৈধতা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে মহুয়া পানীয়কে আইনবৈধ করবে মধ্য প্রদেশ সরকার। ছবি টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 8:14 AM

ভোপাল: মহুয়া দিয়ে মদ তৈরি হলে তা বেআইনি হিসাবে ধরা হবে না। মধ্য প্রদেশের নতুন আবগারি আইনে তুলে আনা হবে এই বিষয়টি। সোমবার এমনটাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি জানান, এই পানীয় ‘হেরিটেজ লিকার’ বা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পানীয়র তালিকায় সংযোজিত হবে। এর ফলে মধ্য প্রদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ মহুয়া থেকে পানীয় তৈরির আইনি ছাড়ও পাবেন। এমনকী আদিবাসীরা এই পানীয় সরাসরি বিক্রিও করতে পারবেন, সে ভাবেই তৈরি হবে নয়া আইন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের যাঁরা আছেন, তাঁরা নিজেদের মতো করে জঙ্গল তৈরি করতে পারেন। পছন্দমতো গাছের চারা নিজেরাই রোপণ করবেন, সেখানে যে কাঠ ও ফল হবে, তাতে পুরোপুরি অধিকার থাকবে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী আবাসিয়া ভূ-অধিকার যোজনায় বসবাসের জমির অধিকারও দেওয়া হবে আদিবাসীদের।

সোমবার বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান মধ্য প্রদেশের মন্ডলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সংবাদসংস্থা এএনআই এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী গলায় ঢোল ঝুলিয়ে কোমর দোলাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনজাতি গৌরব দিবস-এর অংশ হিসাবে বিরসা মুন্ডার পাশাপাশি অন্যান্য আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীর অবদান স্মরণে আগামী ১৫ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ভাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। আর তাতে বিশাল আয়োজন করেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লেখেন, ‘কংগ্রেস জনজাতীয় নেতাদের সম্মান করেনি। বীরসা মুণ্ডা, শঙ্কর শাহ, রঘুনাথ শাহের মতো নেতাদের দিকে নজরই দেয়নি তারা। আমরা সম্মান দেব।’

এদিকে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে তফসিলি উপজাতিদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ২,৪০১ টি। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১,৯২২। ২০১৮ সালে তা ছিল ১,৮৬৮। দুই বছরের সময়কালে রাজ্য আদিবাসী জনগণের উপর অত্যাচার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যে তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৪৭টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এদিকে ২০০৮ সালে বিজেপি মাত্র ২৯টিতে জিতেছিল। তাই এমন আয়োজন।

আরও পড়ুন: এখনও পড়ে টিকার ২১ কোটি ডোজ়, হর ঘর দস্তকে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে চিঠি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের