Madhya Pradesh serial-killer: মাথা থেঁতলে পাঁচটি খুন, গা ছমছমে সিসিটিভি ফুটেজ, ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর ‘সিরিয়াল কিলার’
Madhya Pradesh Sagar serial-killer: পর পর তিনদিনে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল তিন নিরাপত্তারক্ষীকে। তারও আগে আরও একজনকে। অবশেষে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার।
ভোপাল: চলতি সপ্তাহের পর পর তিনদিনে হত্যা করা হয়েছিল তিন নিরাপত্তারক্ষীকে। তারও আগে হত্যা করা হয়েছিল আরও একজনকে। চারটি হত্যার ক্ষেত্রেই নকশা ছিল অভিন্ন, প্রত্যেকেরই মাথা হাতুড়ি, কোদাল বা পাথরের মতো ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার সদর শহরে। পুলিশের পক্ষ থেকেও একজন সম্ভাব্য ‘সিরিয়াল কিলার’-এর বিষয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে সাগর শহর থেকেই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, এর আগে ভোপালেও একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে একই কায়দায় হত্যা করেছে সে।
খাজুরি থানার ইনচার্জ সন্ধ্যা মিশ্র জানিয়েছেন অভিযুক্তের নাম শিব প্রসাদ, বয়স ১৯ বছর। পুলিশের দাবি এক সিসিটিভি ফুটেজে তাকে, নিহত চার নিরাপত্তারক্ষীর একজনকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে। এক সূত্রের দাবি, ব্লকবাস্টার সিনেমা কেজিএফ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল অভিযুক্ত। পরপর ঘুমন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা করে সে বিখ্যাত হতে চেয়েছিল। শুক্রবার সকালে ভোপালের এক জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে খুন হওয়া নিরাপত্তারক্ষীদের একজনের কাছ থেকে সে একটি মোবাইল ফোন চুরি করেছিল। সেটি ট্র্যাক করেই পুলিশ তার সন্ধান পেয়েছে। সাগরের পুলিশের আইজি অনুরাগ প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমরা অভিযুক্তকে ভোরে ভোপাল থেকে তুলে নিয়েছি। সাগরের ঘটনার পিছনে তিনিই মূল ব্যক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমাদের তদন্ত চলছে।”
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেও ভোপাল শহরে এক নিরাপত্তারক্ষীকে একইভাবে মাথা থেঁতলে দিয়ে হত্যা করেছে সে। নিহতের নাম সোনু ভার্মা। ২৩ বছরের সোনু ভোপালের এক মার্বেলের দোকানে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। তবে শিব প্রসাদের হত্যালীলা শুরু হয়েছিলন ভোপাল থেকে ১৬৯ কিলোমিটার দূরে, সাগর শহরে। গত ২৮ অগস্ট কল্যাণ লোধি নামে এক কারখানার গার্ডকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর মাথা হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। পরের রাতে, শহরের এক আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজের ৬০ বছর বয়সী নিরাপত্তারক্ষী, শম্ভু নারায়ণ দুবেকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তার পরের রাতে শিব প্রসাদের শিকার হয়েছিলেন মঙ্গল আহিরওয়ার। তিনি ছিলেন সাগরের মোতি নগর এলাকার এক বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী।
এর আগে গত মে মাসে, মাক্রোনিয়া বান্দা রোডে এক ওভার-ব্রিজ তৈরির স্থানে উত্তম রজক নামে আরেক নিরাপত্তারক্ষীকেও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতক তার বিকৃত মুখে একটি জুতো রেখে গিয়েছিল। পুলিশ মনে করছে, ওই হত্যাটিও শিব প্রসাদেরই করা। ওই ক্ষেত্রে যেমন জুতো পাওয়া গিয়েছিল, সেরকমই আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজের নিরাপত্তারক্ষী শম্ভুরাম দুবের মৃতদেহের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছিল। তবে তাতে কোনও সিম কার্ড ছিল না। পুলিশ জানতে পেরেছিল, ফোনটি ছিল কল্যাণ লোধির। যাকে তার আগের রাতেই হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই ঘটনাগুলিকে এক সুতোয় গেঁথেছিল পুলিশ।
महज़ 19-20 साल की उम्र में नाम हासिल करने के लिये आरोपी ने 5 सिक्योरिटी गार्ड को पत्थर से कुचलकर मार डाला ऐसा पुलिस का कहना है. सीसीटीवी फुटेज में वो बेरहमी से कत्ल करता दिख रहा है @ndtv @ndtvindia https://t.co/vupRSULQIj pic.twitter.com/pTKcV4jSDk
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) September 2, 2022
এরপরই শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা শুরু করেছিল পুলিশ। একটি ফুটেজে অভিযুক্তকে একটি সাদা শার্ট ও শর্টস পরা অবস্থায় দৌড়তে দেখা গিয়েছিল। সেই ছবির ভিত্তিতে সন্দেহভাজনের একটি স্কেচও তৈরি করা হয়েছিল। পরে আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজে একই ব্যক্তিকে নিহত এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। সেই ফুটেজেও তার পরনে সাদা শর্টস ও শার্ট ছিল। ফুটেজে দেখা যায় সে একটি পাথর দিয়ে তার শিকারের মাথায় আঘাত করছে। তারপর তাকে কেউ দেখছে না নিশ্চিত করে সে সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। তবে, শেষ পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরার চোখকে সে ফাঁকি দিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, কন্নড় চলচ্চিত্র কেজিএফ-এর কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একজন আততায়ীকে কেন্দ্র করে। পুলিশের দাবি সেই কাহিনিই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল বলে জানিয়েছে শিব প্রসাদ। সাগর জেলার সুপারের দাবি, সে আরও জানিয়েছে যে, নিরাপত্তারক্ষীদের পর পুলিশকর্মীদের নিশানা করার পরিকল্পনা করেছিল সে।