‘নাম কেনার জন্য ত্রাণ ঘোষণা করব না’, বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, আশ্বাস দিলেন সাহায্যের

রবিবার এনডিআরএফের তরফে জানানো হয়, ভূমিধসের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি ৭৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে, নিখোঁজ ৪৭ জন।  অন্যদিকে, কৃষ্ণা নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়ে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত করেছে।

'নাম কেনার জন্য ত্রাণ ঘোষণা করব না', বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, আশ্বাস দিলেন সাহায্যের
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 4:36 PM

মুম্বই: লাগাতার বৃষ্টিতে বয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। কমপক্ষে ১৩৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছে, আহতও ৫০ জনের বেশি।  এ দিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান এবং সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।

গত এক সপ্তাহ ধরেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকাগুলি জলে প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়গঢ়, রত্নগিরি ও সাতারা জেলা। সেখানে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৫০ পার করেছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছে নৌসেনা, এনডিআরএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

এ দিন চিপলুনে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি। নিজের পায়ে ফের একবার উঠে দাঁড়াতে আমরা সবরকমভাবে সাহায্য করব।”  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক ভাস্কর যাদব, কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উদয় সামন্ত ও শিবসেনার সাংসদ বিনায়ক রাউত। স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, নাম কেনার জন্য তিনি ত্রাণ ঘোষণা করতে চান না। এখনই রাজ্যের তরফে কোনও বন্যা ত্রাণ ঘোষণা করা হচ্ছে না। গোটা পরিস্থিতির পর্যালোচনার পরই ত্রাণ ঘোষণা করা হবে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলাশাসকদের শুকনো খাবার, জল, ওষুধ, জামাকাপড়, ত্রিপল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে বলেছেন বলেও জানান।

বিগত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি চললেও এ দিন আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পাবে। তবে পুণে, নাসিক, নন্দুবার, ধুলেতে আগামী ১২ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

রবিবার এনডিআরএফের তরফে জানানো হয়, ভূমিধসের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি ৭৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে, নিখোঁজ ৪৭ জন।  অন্যদিকে, কৃষ্ণা নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়ে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত করেছে। এখনও অবধি ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য। আরও পড়ুন: ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা, ২ দিনে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করল অসম জিআরপি