‘অন্তিম হুঁশিয়ারি’, নিয়ম অমান্য হলেই কড়া লকডাউন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩২০ জন। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৬০২ জনই মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-র বাসিন্দা।

'অন্তিম হুঁশিয়ারি', নিয়ম অমান্য হলেই কড়া লকডাউন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 14, 2021 | 10:58 AM

মুম্বই: শেষবারের মতো সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও যদি কথা অমান্য করা হয় তবে গোটা রাজ্যেই কড়া লকডাউন জারি করবেন, এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। শনিবার মহারাষ্ট্রের সমস্ত হোটেল-রেস্তরাঁগুলি ও শপিং মলগুলির মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “আত্মশৃঙ্খলতা ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তফাত বুঝুন।”

দেশে ফের একবার করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩২০ জন। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৬০২ জনই মহারাষ্ট্রের। সংক্রমণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের।

রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই নাগপুর, অমরাবতী সহ একাধিক জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। কড়া নিয়মবিধি জারি করা হয়েছে অন্যান্য জেলাগুলিতেও। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যের হোটেল-রেস্তরাঁ ও শপিংমলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন। সেখানেই তিনি কড়া ভাষায় জানান, সম্প্রতি এই জায়গাগুলিতে কোনও নিয়মবিধিই পালন করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: জনসমাগমে রাশ টানল ইয়েদুরাপ্পা সরকার, নিয়মভঙ্গে হতে পারে জরিমানাও

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কড়া লকডাউন জারি করতে আমাদের বাধ্য করবেন না। এটাকে শেষবারের মতো সতর্কবার্তাই মনে করুন। সকলকে করোনাবিধি মেনে চলতেই হবে। সকলকে বুঝতে হবে আত্মশৃঙ্খলা ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফারাক রয়েছে।” করোনা নিয়মবিধি শীথিল হতেই অক্টোবর মাস থেকেই এই জায়গাগুলিতে ভিড় হতে শুরু হয়েছে, এদিকে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ববিধি মানার মতো কোনও নিয়মই অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় একটি দল মুম্বইয়ে এসেছিল। তাঁরাই জানিয়েছেন যে হোটেলে কেউই মাস্ক পরে ছিলেন না। সামাজিক দূরত্ববিধিও অনুসরণ করা হচ্ছিল না। লকডাউন ওঠার পর প্রাথমিকভাবে নিয়মবিধি অনুসরণ করা হলেও এখন কেন মানা হচ্ছে না?”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার লকডাউন না চাইলেও সাধারণ মানুষ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় সেই পথেই এগোতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের জবাবে হোটেল সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়, যদি কাউকে নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা যায়, তবে সরাসরি বহিষ্কার করা হবে। শপিং মলগুলির তরফেও জানানো হয় যাতে আগত ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন, তার জন্য কোভিড মার্শাল নিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন: ‘সন্ন্যাস’ ভেঙে জোড়াফুলে যশবন্ত, মমতার মোদী-বিরোধী ভাবমূর্তিতে বড় সিলমোহর?