আনলকের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতারাতি ‘ইউ-টার্ন’ ঠাকরে সরকারের, টুইটে কটাক্ষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

আনলক প্রক্রিয়া নিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর ঘোষণার কিছুক্ষণ বাদেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দফতর জানায়, এই বিষয়ে এখনও কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আনলকের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতারাতি 'ইউ-টার্ন' ঠাকরে সরকারের, টুইটে কটাক্ষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 3:58 PM

মুম্বই: আনলক প্রক্রিয়ার ঘোষণা করেও রাতারাতি পাল্টি খেল মহারাষ্ট্র সরকার। বৃহস্পতিবার বিকেলেই রাজ্য়মন্ত্রী পাঁচ স্তরে আনলক প্রক্রিয়ার ঘোষণা করলেও মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানাল, এই বিষয় নিয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কবে থেকে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, তার দিনক্ষণও স্থির হয়নি এখনও।

বৃহস্পতিবার বিকেলেই মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদ্দেতিয়ার জানান, মহারাষ্ট্রেও পজেটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার এবং জেলায় কত শতাংশ অক্সিজেন বেড ভর্তি, তার উপর নির্ভর করে পাঁচ স্তরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রথম স্তরে যে সমস্ত জেলাগুলি থাকবে, সেখানে লকডাউন সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হবে। পঞ্চম স্তরে থাকা জেলাগুলিকে রেড জ়োন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধই জারি থাকবে।

কিন্তু মন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছুক্ষণ বাদেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দফতর জানায়, এই বিষয়ে এখনও কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। রাজ্যে কোনও বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়নি। আনলক প্রক্রিয়ার প্রস্তাব নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “এখনও করোনা সংক্রমণ থেমে যায়নি। বেশকিছু গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ এখনও বাড়ছে। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা ও রূপ পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যে এখনও কোনও বিধিনিষেধ তোলা হয়নি।

বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ তোলার বিষয়টি পর্যালোচনা করার পরই রাজ্য সরকারের তরফে আনলকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে। এ দিকে, লকডাউন-আনলক প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, “কী খোলা রয়েছে আর বন্ধই বা কী রয়েছে? লক নাকি আনলক?”

আগামী ১৫ জুন অবধি রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও রবিবার থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। সকাল ১১ টার বদলে এ বার থেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান দুপুর দুটো অবধি খোলা থাকবে। তবে এই সুবিধা কেবল সেই সমস্ত জেলাতেই পাওয়া যাবে, যেখানে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের কম। একই সঙ্গে পুনরায় চালু করা হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্যের অনলাইন ডেলিভারি।

আরও পড়ুন: করোনার সুরক্ষাবিধির পাঠ দিতে এগিয়ে এল জোকার, ভিড় বাড়াচ্ছে খুদেরা