Security Lapse in Amit Shah’s Visit: নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন বলে ঘুরছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশেপাশে, ধরা পড়তেই জানা গেল আসল পরিচয়…
Security Lapse in Amit Shah's Visit: নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকালে তিনি জানান যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই আধিকারিক তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য তিনি এসেছেন।
মুম্বই: প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। অভিযোগ, চলতি সপ্তাহেই মুম্বই গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময়েই তাঁর নিরাপত্তায় গাফিলতি হয়েছিল। এক ব্যক্তি নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিক বলে দাবি করেন এবং দীর্ঘক্ষণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশেপাশে ঘুরে বেড়ান বিনা বাধায়। পরে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয় এবং গ্রেফতারও করা হয়।
চলতি সপ্তাহেই দুইদিনের সফরে বাণিজ্যনগরী মুম্বই গিয়েছিলেন। বুধবারই ওই সফর শেষ হয়। কিন্তু আজ নিরাপত্তায় গাফিলতি নজরে আসে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম হেমন্ত পাওয়ার। তিনি অন্ধ্র প্রদেশের একজন সাংসদের ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে কাজ করেন। বুধবার তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢোকার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকালে তিনি জানান যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই আধিকারিক তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য তিনি এসেছেন। এরপরে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আই-কার্ড পরে ঘুরে বেড়ান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশেপাশেও তাঁকে ঘুরতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দুটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের বাড়ির বাইরেও দেখা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই এক আধিকারিকের ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। তিনি নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিক বলে দাবি করলেও, সেই কথায় বিশ্বাস না হওয়ায় তিনি মুম্বই পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জেরায় পুলিশ জানতে পারে যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিক হওয়া তো দূরের কথা,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে অতিথিদের তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল না। সম্পূর্ণ ভুয়ো পরিচয় ভাঁড়িয়েই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশেপাশে ঘুরছিলেন ঘণ্টাখানেক ধরে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।