Uttar Pradesh: মেয়ে কথা শোনেনি, কিশোরীকে হত্যার জন্য ১ লাখ টাকা দিয়ে ‘ভাড়াটে খুনি’ জোগাড় করল বাবা
Uttar Pradesh Crime: শনিবারের ওই ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর বাবা নবীন কুমার, ওয়ার্ড বয় নরেশ কুমার এবং হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মীরাট : মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ ছিল না বাবার। অনেকদিন ধরেই বলছিলেন, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু মেয়ে কথা শোনেনি। এই নিয়ে মেয়ের উপর রাগ ক্রমেই বাড়ছিল বাবার। আর তাই এক চরম সিদ্ধান্ত নেন উত্তর প্রদেশের মীরাটের বাসিন্দা নবীন কুমার। মেয়েকে মারার জন্য এক ভাড়াটে খুনি জোগাড় করে নিয়েছিলেন তিনি। ভাড়া করা হয়েছিল হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে। ১৭ বছর বয়সি ওই মেয়েটিকে হাই ডোজ়ের পটাসিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন দিয়েছিল ওয়ার্ড বয়। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে কিশোরীর। ছুটে আসেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। বোঝা যায়, তাকে হাই ডোজ়ের পটাশিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছে কিশোরীকে। শনিবারের ওই ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর বাবা নবীন কুমার, ওয়ার্ড বয় নরেশ কুমার এবং হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে নবীন কুমার তার মেয়েকে কাঁকরখেদার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তি করার কয়েক ঘন্টা পরেই, কিশোরীকে মোদিপুরমের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর হঠাৎই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় আসল বিষয়টি। যে ব্যক্তি কিশোরীকে ওই হাই ডোজ়ের ইনজেকশন দিয়েছিল, তাকেও শনাক্ত করা যায় ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। তার পরিচয় জানার পর পুলিশ ওয়ার্ড বয় নরেশ কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ওয়ার্ড বয় পুলিশের কাছে স্বীকার করে গোটা ঘটনা। জানায়, ওই মেয়েটির বাবা তাকে হত্যা করার জন্য ধৃত ওয়ার্ড বয়কে এক লাখ টাকা দিয়েছিল। সেই চুক্তি মতো ওয়ার্ড বয় নিজেকে চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে আইসিইউতে ঢোকে এবং কিশোরীকে ওই হাই ডোজ়ের ইঞ্জেকশন দেয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের এক মহিলা কর্মী তাকে সাহায্য় করেছে বলেও জানায় সে। ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কিশোরীর বাবা এবং ওই হাসপাতালের মহিলা কর্মীকেও গ্রেফতার করে।
পরে নবীন কুমার পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, তার মেয়ে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। বারবার বলার পরেও সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিল না কিশোরী। হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তিনি চিকিৎসকদের বলেছিলেন, দুর্ঘটনাবশত মেয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আসল বাস্তব হল, সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিল। পুলিশকে ধৃত নবীন কুমার এ কথা জানিয়েছে।