Covid-19 Death: ২ বছর পর বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লেন কোভিডে ‘মৃত’ ব্যক্তি
Covid-19 Death: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হয়েছিল কমলেশ পাতিদারের। দু' বছর সেই কমলেশই কড়া নাড়লেন মামাবাড়ির দরজায়।
ভোপাল: করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্ত হয়ে দু’বছর আগে মারা গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। হাসপাতালের তরফে প্লাস্টিকে মোড়ানো তাঁর দেহ দেখানো হয়েছিল। তারপর পরিবারের তরফে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও করা হয়। ৪০ বছর বয়সী সেই ব্যক্তিই ফিরে এলেন বাড়ি। মধ্য প্রদেশে নিজের মামা বাড়িতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়লেন। দরজা খুলতেই কমলেশকে দেখে ভূত দর্শনের মতো অবস্থা তাঁর মামার।
মধ্য প্রদেশের বদনাওয়ার তেহসিলের কাদোদকলন গ্রামের বাসিন্দা কমলেশ পাতিদার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। সেই সময় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। সেই ঢেউয়ে পার পাননি কমলেশ। কোভিড আক্রান্ত হন তিনি। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। সেই সময় তিনি বাদভেলিতে ছিলেন। কিন্তু সেখানে হাসপাতালের কোনও শয্যা মেলেনি তাঁর জন্য। তাই বরোদাতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়। প্লাস্টিকে মোড়া একটি দেহ দেখানো হয় কমলেশের পরিবারদের এবং তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শেষকৃত্য় সম্পন্ন হওয়ার পর কমলেশের পরিবার নিজেদের বুঝিয়েছিলেন তাঁদের ছেলে মারা গিয়েছে। কিন্তু শনিবার সেই সত্য যেন ভেঙেচুরে গিয়েছে। সত্যি মিথ্যের বিভাজন রেখায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এখন তাঁর গোটা পরিবার। কোভিডে মৃত কমলেশ গত শনিবার মধ্য প্রদেশে মামার বাড়িতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়েন। মধ্য প্রদেশের বাদভেলি গ্রামে মামাবাড়ি তাঁর। দরজার বাইরে ‘মৃত’ ভাগ্নেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হতভম্ব হয়ে যান মহেশ পাতিদার। তবে দু’বছর আগে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি কী করে ফিরে আসেন?
কমলেশের মামা রামেশ্বর জানান, এই দু’ বছর কমলেশকে আটকে রেখেছিল একটি গ্যাং। তিনি বলেন, “কমলেশ বলেছে, কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে আটক করে রাখে ১২ জনের একটি গ্য়াং। এতদিন ওকে আহমেদাবাদেই রাখা হয়েছিল। তারা ওকে ড্রাগ ইনজেনকশন দিয়ে সারাক্ষণ অচেতন করে রাখত।” তিনি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কমলেশকে এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে এক হোটেলের সামনে তাদের গাড়ি থামে। সেই সময় সুযোগ বুঝে পালানোর ফন্দি করছিলেন কমলেশ। অপেক্ষা সফল হয় যখন তিনি একটি আহমেদাবাদ-ইন্দোর বাস যেতে দেখেন। আর তাতেই উঠে পড়েন তিনি। সেখান থেকে সর্দারপুর। তারপর কয়েকজনের সাহায্যে বাদভেলি গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছন তিনি। রামেশ্বর জানিয়েছেন, এখনও সেইভাবে চেতনা ফেরেনি কমলেশের। এএসপি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তদন্ত করবে পুলিশ।