PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদীই দেখাবেন পথ, বলছেন বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা

International Personalities Praising PM Modi: ভারতকে 'বিশ্বগুরু'তে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, তাঁকেই এখন বিশ্বগুরু বলে মানছে গোটা বিশ্ব।

PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদীই দেখাবেন পথ, বলছেন বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2023 | 7:54 PM

নয়া দিল্লি: ভারতকে ‘বিশ্বগুরু’তে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, তাঁকেই এখন বিশ্বগুরু বলে মানছে গোটা বিশ্ব। বহু রাষ্ট্রনেতা এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন। কোভিড পরবর্তী বিশ্ব এখন তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর অতুলনীয় নেতৃত্বই গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত দুই সপ্তাহে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা, লগ্নিকারী এবং স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কে কী বলছেন –

নিকোলাস স্টার্ন (ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডসের সদস্য): “প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃদ্ধি ও উন্নয়নের সম্পূর্ণ নতুন কাহিনি রটচনা করছেন। আমি ২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগোতে সিওপি ২৬-এ তাঁর বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম। তিনি তাঁর বক্তৃতায় টেকসই উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বচ্ছতা এবং প্রতিশ্রুতি অত্যনত গুরুত্বপূর্ণ। এটি জি২০-র নেতৃত্বেও ধরা পড়ছে। এটা এই শতাব্দীর অর্ছনৈতিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের কাহিনি।”

জয়েস কাকুরামাতসি কিকাফুন্ডা (ভারতে উগান্ডার হাই কমিশনার): “প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদেরা বন্ধু। ২০১৮ সালে তিনি উগান্ডা সফর করেছিলেন। তাঁর সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক সম্পূর্ণ বদলে যায় এবং বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। তিনি সবসময় আফ্রিকার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব, বিশেষ করে উগান্ডার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেন। তিনি অপরের সমস্যাগুলি উপলব্ধি করেন এবং তারপর সাহায্য করেন। তিনি বলেন আমাদের বন্ধুত্বের কোনও স্বার্থ নেই। যেমন কোভিডের সময় ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল। আমরা তা কখনও ভুলব না। এই সম্পর্ক নিয়ে আমরা সত্যিই খুশি এবং আমার কর্তব্য হল সেই সম্পর্ক যাতে সুন্দর থাকে তা নিশ্চিত করা।”

জিনা রাইমন্ডো (মার্কিন সেক্রেটারি অব কমার্স): “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটানোর এক অবিশ্বাস্য হয়েছিল আমার। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি স্বপ্ন দেখেন এবং ভারতের জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা বর্ণনাতীত। জনগণকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে ভারতকে তুলে ধরাই তাঁর লক্ষ্য এবং বাস্তবে তাই ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে যারা চেনে তারা জানে যে, তিনি একজন প্রযুক্তি পছন্দ করেন এবং যে কোনও সমস্যার গভীরে যেতে পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে ভারত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ভারতকে ব্যবসা করার জন্য আরও আকর্ষণীয় জায়গা করে তুলেছে। আরও বেশি স্বচ্ছতা, ডিজিটাল অর্থনীতিতে দ্রুত পদক্ষেপ, দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা – এই সমস্ত বিষয়ের জন্য ভারত আরও আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠেছে।”

ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর): জি২০-র মনোযোগ যাতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর থাকে, তা নিশ্চিত করতে চমৎকার কাজ করছে ভারত। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নীতি নির্ধারণের জটিল চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন মতের তুলনামূলক আলোচনা এবং সঠিক নীতিগত পদক্ষেপ করা।”

এমিন জাপারোভা (ইউক্রেনের উপ-বিদেশমন্ত্রী): “ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্র), ডায়ালগ (আলোচনা) এবং ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্য) – এই তিনটি ‘ডি’-এর নীতি নিয়ে চলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। । আমার মতে, তাঁর যুদ্ধের সময় নয় মন্তব্য এবং তার কৌশলগত প্রয়োগ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি ভারত সত্যিই ‘বিশ্বগুরু’।”

ডেভিড মালপাস (বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট): “উদ্যোগপতি এবং নেতা হিসাবে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এই বিষয়ে তিনি গভীরভাবে আগ্রহী এবং উদ্বিগ্ন। যোগাযোগের সুবিধা দেওয়া, ব্যাঙ্কে না গিয়ে ডিজিটাল লেনদেন করা সত্যিই মহিলাদের ক্ষমতায়নে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও শুধুমাত্র তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশে অন্যান্য মহিলারা কীভাবে কাজ করছে, তা জানতে পারে মহিলারা। এট একটা বড় বিষয়।”

অ্যান্টনি ক্যাপুয়ানো (ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার সিইও): গোটা বিশ্বের আর্থিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ভারত একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতে আতিথেয়তা শিল্পের ক্রমবৃদ্ধির উপর গভীর মনোনিবেশ করেছেন। তিনি আমাদের বেশ কিছু প্রাসাদ দেখিয়েছেন হোটেল তৈরির জন্য। শুধু প্রধান শহরগুলিতেই নয়, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতেও হোটেল তৈরিতে উত্সাহ দিচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন স্থান, দ্বীপ সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের এই সকল অনাবিষ্কৃত এলাকায় যেতে এবং সেখানে হোটেল পরিকাঠামো তৈরি করার ধারণা দিয়েছেন। যাতে ভ্রমণার্থীরা সেই জায়গাগুলিতে যেতে পারে। তিনি ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃদ্ধি সম্পর্কে অত্যন্ত উত্সাহী।”

কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক): প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন আইকনিক নেতা! এমন একজন রাষ্ট্রনেতা যিনি বন্য প্রাণীদের আদর করেন এবং তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়ে আগ্রহী। মনে রাখা দরকার, তাঁর সর্বশেষ জন্মদিনে, তিনি ভারতে বনে চিতা ছেড়েছিলেন। তিনি একজন প্রকৃত নায়ক।”

মিগুয়েল কোস্টা মাতোস (পর্তুগালের সাংসদ): “ভারত শুধুমাত্র প্রাচীনতমই নয়, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র। এই দেশে স্বাধীনতা, সহনশীলতা এবং লিঙ্গসাম্য রয়েছে। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ কথার অর্থ ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যত’। একটি পরিবারের মতোই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করা দরকার।”

ড্যানিয়েল লে (আইএমএফ-এর বিভাগীয় প্রধান): “ভারতীয় অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনীতি। ২০২২ সালে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮। ভুলে গেলে চলবে না যে এটি এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উজ্জ্বল জায়গা।”

অ্যালোইস ভিরাগ (নায়ারা এনার্জি সংস্থার সিইও): “ভারত আগামী ২৫ বছরে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি থেকে ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। এটি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলির মধ্যে সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল।”