MP Electricity Bill: এক মাসের বিদ্যুতের বিল ৩৪১৯ কোটি টাকা! ‘জোর কা ঝটকা’ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি গৃহকর্তা
MP Electricity Bill: কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার নিতিন মাঙ্গলিক জানান,এক কর্মীর ভুলের কারণেই এই বিশাল অঙ্কের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ইন্দোর: অনেক সময়ই অভিযোগ থাকে যে বিদ্যুৎ সংস্থা বেশি ইলেকট্রিসিটি বিল পাঠাচ্ছে। সর্বাধিক হাজার বা দুই হাজার টাকা বেশি বিল পাঠাতে পারে বিদ্যুৎ সংস্থা, এমনটাই ধারণা সাধারণ মানুষের। কিন্তু টাকার অঙ্কটা যদি লাখ বা কোটিতে পৌঁছয়? ইলেকট্রিক বিলে শূন্যের সংখ্যাটা গুণতে গুণতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। তাঁকে ভর্তি করাতে হল হাসপাতালে। ওই পরিবারের কত টাকা বিল এসেছিল জানেন? ৩৪১৯ কোটি টাকা! ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে। প্রিয়ঙ্কা গুপ্তা নামক এক তরুণীর নামেই এই বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল আসে, যা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর শ্বশুর।
গোয়ালিয়রের শিব বিহার কলোনির বাসিন্দা ওই মধ্যবিত্ত পরিবার চলতি মাসের বিদ্যুতের বিল দেখেই বিদ্যুতের ঝটকা খায়। দেখা যায়, বিলে বড় বড় করে লেখা, বিদ্যুৎ ব্যবহারের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৩৪১৯ কোটি টাকা। গত ২০ জুলাই আসা ওই বিদ্যুতের বিল নিয়ে মধ্য প্রদেশ মধ্য ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির পোর্টালে গিয়েও বিলের অঙ্ক মেলানো হয়। সেখানেও দেখানো হয় যে, তাদের ৩৪১৯ কোটি টাকাই বিল হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে এই ভেবেই অসুস্থ হয়ে পড়েনব সঞ্জীব কানকানের বাবা। পরে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের দ্বারস্থ হলে, সেই বিল সংশোধন করে জানানো হয়, তাদের আসল বকেয়া বিল হল ১৩০০ টাকা। এদিকে, ততক্ষণে বিদ্যুতের বিলের চিন্তায় অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।
মধ্য প্রদেশ মধ্য ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার নিতিন মাঙ্গলিক জানান,এক কর্মীর ভুলের কারণেই এই বিশাল অঙ্কের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বিল তৈরির সময় এক কর্মী ভুল করে ইউনিট কনজিউমের জায়গায় কনজিউমার নম্বর বসিয়ে দেয়, যার জেরে টাকার অঙ্ক বিপুল পরিমাণে বেড়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে ১৩০০ টাকার নতুন বিল ওই গ্রাহককে পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে মধ্য প্রদেশের শক্তিমন্ত্রী প্রদ্যুমান সিং তোমার বলেন, ভুল শোধরানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।