Bengaluru News: ফের জঙ্গল রহস্য! সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে খুন স্বামীর
Bengaluru News: নিজের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন স্বামীর। পরে জঙ্গলে দেহ পুঁতে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে।
বেঙ্গালুরু: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনায় এখনও হতভম্ব গোটা দেশের নাগরিক। এর মধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসছে। আফতাবের খুনের কৌশল অনুকরণ করে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করার ঘটনার নজিরও দেখা গিয়েছে। এই রেশ ধরেই এবার কর্নাটকের দাভানগেড়ে জেলায় এক হাড়হিম করা ঘটনা এল প্রকাশ্যে। নিজের স্ত্রীকেই খুন করল ২৭ বছর বয়সী যুবক। শুধু তাই নয়, তার জঙ্গলে তাঁর দেহ পুঁতেও দিয়ে এসেছিল সে। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল তার স্ত্রী। সেই অবস্থাতেই খুন করে দেহ লোপাট স্বামীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার তারা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেশমির দেহ উদ্ধার করেন। সেদিনই নিজের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে পুলিশ মোহন কুমার নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। এক তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই খুনের প্লট পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ওই যুবক বেশ কয়েকদিন আগেই জঙ্গলে একটি বিচ্ছিন্ন জায়গা চিহ্নিত করে রেখেছিল। এমনকী স্ত্রী-র দেহ লুকোনোর জন্য কিছুটা মাটিও খুঁড়ে রেখেছিল সে।
প্রসঙ্গত, গত বছরই দাভানাগেরের বাসিন্দা মোহন কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় রেশমির। তবে প্রথম থেকেই তাঁদের সম্পর্কে দানা বেঁধেছিল সন্দেহ। আর তারই বশবর্তী হয়ে রেশমির গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল মোহন। যখনই রেশমি কারোর সঙ্গে কথা বলতেন সন্দেহ হত মোহনের। তখন রেশমিকে একরাশ প্রশ্ন করা হত। রেশমির অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার অভিযোগ তুলত মোহন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর থেকেই দু’জনের মধ্যে লাগাতার ঝামেলা চলত। মোহন রেশমির উপর অত্যাচার করত বলেও জানা গিয়েছে। চান্নাগিরির পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘একবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিলেন রেশমি। পরে আবার ফিরেও এসেছিলেন। সেই সময় পুলিশে একটি অভিযোগও লিখেছিলেন তিনি।’
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক দেড় মাস আগেই নিজের মায়ের কাছে গিয়েছিলেন রেশমি। তখনই তাঁর মৃত্যুর নেপথ্য কাহিনী লেখা হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে মারার সমস্ত পরিকল্পনা করে ফেলেছিল মোহন। আধিকারিক বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে,ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছে মোহন।’ তিনি জানিয়েছেন, খুব সুনিপুণভাবে এই খুনের পরিকল্পনা করেছিল মোহন। রেশমির দেহ পুঁতে দেওয়ার পরই নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল মোহন। আর অভিযোগে সে জানিয়েছিল, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন রেশমি। তারপরই রেশমির বাবা-মায়ের থেকে তাঁর উপর মোহনের অত্যাচারের কাহিনী জানতে পারে পুলিশ। আধিকারিক বলেন, ‘নিজের গাড়ি করেই চিক্কামাগালুর জেলার হুনাঘাট্টা জঙ্গলে রেশমির দেহ নিয়ে গিয়েছিল মোহন। সেদিন রাত ২ টোর সময় তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছেন দু’জন।’ এদিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে মোহন। নিজেই পুলিশকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে।