Online Fraud Ad : ‘ঘরে পৌঁছে যাবে মদ’, গুগল অ্য়াডের ফাঁদে পা দিয়ে উধাও ৭৮ হাজার

Online Fraud Ad : রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ঝেঁঝপুরির কাছে একটি গ্রামের বাসিন্দা আজহারউদ্দিন খান। মদের হোম ডেলিভারির নামে লোককে ফাঁসিয়ে ব্য়াঙ্ক থেকে টাকা সরিয়ে নিত এই ব্যক্তি।

Online Fraud Ad : 'ঘরে পৌঁছে যাবে মদ', গুগল অ্য়াডের ফাঁদে পা দিয়ে উধাও ৭৮ হাজার
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 8:03 PM

নয়া দিল্লি : দিল্লি সংলগ্ন গুরগাঁওয়ের একটি জনপ্রিয় মদের দোকানের নামে প্রতারণা। সেই মদের দোকানের নামে ভুয়ো অনলাইন বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। তারপর বাড়িতে অ্যালকোহল পৌঁছে দেওয়ার অজুহাতে ফোনের ওটিপির মাধ্যমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্কের টাকা হাফিস করা হত। এরকম ২০০ জনেরও বেশি লোককে ঠকানো হয়েছে। এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজস্থান থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত আজহারউদ্দিন খান রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা এবং নিজের শহর থেকে কাজ করছিলেন। তিনি তার প্রতারণামূলক ব্যবসার প্রচারের জন্য গুগল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেছিলেন, তারা বলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির এক বাসিন্দা প্রথম এই প্রতারণার অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার একটি মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল ভিডিয়ো দেখছিলেন। ভিডিয়োর মাঝেই মদের হোম ডেলিভারির জন্য একটি ফোন নম্বর দেখায়। তিনি স্ক্রিনে দেওয়া সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে একটি QR কোড, বারকোড ও অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠানো হয়েছিল। তারপরই তাঁর থেকে একটি OTP চাওয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তি OTP (ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড) দেওয়ার পরে একাধিক লেনদেনে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৮ হাজার ৩৮৪ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। পরে অভিযুক্ত তার ফোন বন্ধ করে রেখে দেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে প্রতারক যে নম্বরটি ব্যবহার করেছে তা রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ঝেঁঝপুরির কাছে একটি গ্রামে ট্র্যাক করা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “তদন্তের অংশ হিসাবে পুলিশের একটি দলকে ভরতপুরে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে অভিযুক্ত আজহারউদ্দিন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি বেসিক কীপ্যাড ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি ফোন করার জন্য এবং অপরাধের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল।” ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তর উত্তর) দেবেশ কুমার মাহলা জানিয়েছেন, গুরগাঁওয়ের একটি জনপ্রিয় মদের দোকানের নামে গুগল অ্যাডে বিজ্ঞাপন পোস্ট করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সে গত এক বছর ধরে এই র‌্যাকেট চালাচ্ছে এবং এনসিআরে বহু মানুষকে প্রতারিত করেছে।

তিনি বলেছেন, “তার পোস্ট করা গুগল বিজ্ঞাপনটি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতেও দেখা যাচ্ছিল। প্রতারক মোবাইল ফোন নম্বর এবং অন্যান্য বিবরণ সহ গুরগাঁওয়ের তিনটি জনপ্রিয় মদের দোকানের নামে মদের হোম ডেলিভারির বিজ্ঞাপনগুলি দিত। একবার কেউ দেওয়া ফোন নম্বরে ডায়াল করলেই গ্যাংটি অনলাইনে মদ সরবরাহের অজুহাতে ওটিপি জিজ্ঞাসা করে QR কোড, বারকোডের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে উপলব্ধ প্রায় সমস্ত পরিমাণ অর্থ কেটে নিত। সব টাকা আত্মসাৎ করা হলে সেই ফোন নম্বর বন্ধ করে দিত অভিযুক্তরা।” ডিসিপি জানিয়েছেন, জয়পুরের একটি কলেজ থেকে ফার্মেসিতে ডিপ্লোমা শেষ করেছিল অভিযুক্ত প্রতারক। তারপর তিনি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু গ্রামবাসীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করার সিদ্ধান্ত নেয়।