Noida woman: গরিব বলে কি সম্মান নেই? ফের ক্যামেরায় ধরা পড়ল বড়লোকি অহঙ্কার, গ্রেফতার মহিলা

Noida woman: গরিব মানষের কি কোনও সম্মান নেই? ফের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ল বড়লোকি অহঙ্কার। স্থান সেই নয়ডা।

Noida woman: গরিব বলে কি সম্মান নেই? ফের ক্যামেরায় ধরা পড়ল বড়লোকি অহঙ্কার, গ্রেফতার মহিলা
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ল অহঙ্কার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 8:02 PM

নয়া দিল্লি: গরিব মানষের কি কোনও সম্মান নেই? ফের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ল বড়লোকি অহঙ্কার। স্থান সেই নয়ডা। যেখানে মাত্র কয়েকদিন আগেই এক হাউজিং সোসাইটিতে এক নিরাপত্তারক্ষীকে অশ্রাব্য গালিগালাজ ও শারীরিক নিগ্রহ করার জন্য এক মহিলা আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই নয়ডারই সেক্টর ১২১-এর ক্লিও কাউন্টি আবাসনে এক নিরাপত্তারক্ষীকে পর পর থাপ্পড় মারতে দেখা গেল এক মহিলাকে। রবিবার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশ ওই মহিলার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে। কোতোয়ালি এলাকার ফেজ ৩-এর ক্লিও কাউন্টি সোসাইটির প্রাঙ্গণে ঢুকে হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীদের একজনকে চড় মারতে দেখা যায়। ওই স্থানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটাই ধরা পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনজন নিরাপত্তারক্ষীর একটি দলের দিকে এগিয়ে যান তিনি। তারপর তাঁদের মধ্যে একজনকে সপাটে চড় মারতে থাকেন এবং সেই সঙ্গে তিরস্কার করেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। ওই মহিলার আচরণের সমালোচনা হয়। গরিব মানুষ বলেই, নিরাপত্তা রক্ষীদের অসম্মানিত করার এই প্রবণতার তীব্র নিন্দা করা হয়।

এরপরই এই বিষয়ে তদন্তে নামে নয়ডা পুলিশ। ওই মহিলার নাম সুতপা দাস বলে শনাক্ত করে পুলিশ। নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে পেশায় তিনি একজন অধ্যাপক। দিল্লির এক কলেজে শিক্ষকতা করেন। নিরাপত্তারক্ষী “যথেষ্ট দ্রুত” দরজা খোলেননি বলেই তিনি রেগে গিয়েছিলেন। এরপরই, ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় জনসাধারণের শান্তির বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। শনিবার রাতেই ওই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জামিনযোগ্য ছিল বলে, এদিন তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।

এর আগে গত মাসে নয়ডারই এক আবাসন কমপ্লেক্সে এক নিরাপত্তাকর্মীকে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছিল ভাবা রায় নামে এক আইনজীবীকে। তিনি মদ্যপ ছিলেন, ওই অবস্থায় অত্যন্ত জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা আটকানোর পর, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন। তাঁর সেই কুৎসিত আচরণ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। তাকেও গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েকদিন পর তিনিও জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। নয়ডাতেই আরও এক হাউসিং কমপ্লেক্সে যান্ত্রিক কারণে লিফটে আটকে যাওয়ার পর, লিফট থেকে নেমে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর মনের সুখে গায়ের ঝাল মিটিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বড়লোকি অহঙ্কার ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।