Manipur Violence: মণিপুরের হিংসা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

AITC: আগামী শুক্রবার তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল মণিপুর পরিদর্শনে যাবে। ৫ সদস্যের মধ্যে থাকবেন, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন এবং লোকসভার সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সুস্মিতা দেবও থাকবেন প্রতিনিধি দলে।

Manipur Violence: মণিপুরের হিংসা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
মণিপুরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছবি সৌজন্য: পিটিআই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2023 | 12:07 AM

কলকাতা: গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে অশান্ত মণিপুর (Manipur)। অশান্তি এড়াতে হিংসা-কবলিত ওই রাজ্যে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বর্তমানে মণিপুরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই এবার মণিপুর যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৪ জুলাই, শুক্রবার ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে বলে সোমবারই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) তরফে জানানো হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল মণিপুর পরিদর্শনে যাবে। ৫ সদস্যের মধ্যে থাকবেন, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন এবং লোকসভার সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সুস্মিতা দেবও থাকবেন প্রতিনিধি দলে।

এদিন প্রতিনিধি দলের মণিপুর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়ে কেন্দ্র ও মণিপুরের বিজেপি সরকারকে একযোগে তোপ দেগে টুইটও করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গত ৩ মাস ধরে ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ মণিপুরের অশান্তির ঘটনাকে উপেক্ষা করেছে বলেও টুইটারে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত সরকার বিভেদের রাজনীতি করছে অভিযোগেও সরব হয়েছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে কুকি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা শুরু হয়। তারপর সময় যত এগিয়েছে, ততই অশান্তির ঘটনা বেড়েছে। পরিস্থতি সামাল দিতে মণিপুর সরকার একাধিক জায়গায় কারফিউ জারি করে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেয়। তারপর মাস খানেক আগে মণিপুর সফরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং। দুই সম্প্রদায়েরই কথা শোনা হবে এবং তারপরই পুরো বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। অশান্তি ছড়ালে রেহাই পাবে না বলেও কড়া বার্তা দেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র আত্মসমর্পণ করে। রাজ্য পুলিশ ও সেনা যৌথভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও বহু অস্ত্র উদ্ধার করে ও বিক্ষোভকারীদের বাঙ্কার ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু, মাঝে-মধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্য।