Mann ki Baat: ‘ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না, টিকা নিন’, রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস নমোর

করোনা নিয়ে নানা ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সঠিক সূত্র থেকেই তথ্য জানুন। আশেপাশের চিকিৎসককে যোগাযোগ করুন বা হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে জানুন। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না।"

Mann ki Baat: 'ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না, টিকা নিন', রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস নমোর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 25, 2021 | 1:08 PM

নয়া দিল্লি: দেশের ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিই বর্তমানে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানেও তাই উঠে এল করোনা প্রসঙ্গ। আলোচনার শুরুতেই তিনি বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের ধৈর্য ও সহ্যশক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে।”

করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের বিরুদ্ধে ভারত লড়তে সক্ষম হলেও দ্বিতীয় ঢেউ ঝড়ের মতো এসেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ঢালাও প্রশংসা করেন দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। সংক্রমণ চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে তার চিকিৎসা, রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য, করোনা যোদ্ধাদের লড়াই- সবকিছু নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ের এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। দ্বিতীয় ঢেউ কী ও আগের সংক্রমণের থেকে কীভাবে আলাদা, তা জানতে চান। এর জবাবে ডঃ শশাঙ্ক বলেন, “এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগের মতোই সমস্ত উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এইবারের সংক্রমণেও, তবে ৮০-৯০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। সঠিক খ্যাদাভ্যাস ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে চললে ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই করোনা সেরে যায়।”

করোনা চিকিৎসা সম্পর্কে জানান, স্বল্প উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আইসোলেশনে করে রাখুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিন দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ দেখুন। যদি জ্বর আসে তবে প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধ নিন। রেমিডেসিভির নিয়ে বাজারে এত চাহিদা কেন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে এই ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। মূলত এক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। রেমিডেসিভির ব্যবহারে কেবল রিপোর্টে সামান্য তারতম্য দেখা যায় ও হাসপাতালে কয়েেকদিন কম থাকতে হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ৯-১০ দিনের মধ্যে রেমিডেসিভির প্রয়োগ করলে খুব একটা ফল দেখা যায় না। তাই আমার অনুরোধ, চিকিৎসক বললে তবেই এই ওষুধ নিন।”

করোনা নিয়ে নানা ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সঠিক সূত্র থেকেই তথ্য জানুন। আশেপাশের চিকিৎসককে যোগাযোগ করুন বা হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে জানুন। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না।”

উপত্যকায় করোনা রোগীদের হালহকিকত জানতে  শ্রীনগরের আরেক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই চিকিৎসক জানান, ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাই সাধারণ মানুষের মনে ভয় কমে গিয়েছিল। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, “বর্তমানে বাজারে দুটি ভ্যাকসিন আছে। দুটিরই কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের বেশি এবং কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই কোনও বড় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কোনও টিকাই ১০০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধের গ্যারান্টি দিতে পারে না। টিকা নিলেও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে রোগ গুরুতর আকার ধারণ করবে না।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই সুরে বলেন, “কেন্দ্র টিকাকরণ কর্মসূচির শুরু থেকেই বিনামূল্য টিকা দিচ্ছে। বর্তমানে ৪৫ বছরের উর্ধ্ব সকলেই বিনামূল্যে করোনা টিকা নিচ্ছেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, আগামীদিনেও বিনামূল্যে কেন্দ্রের টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে।” করোনা যোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি  রায়পুরের বি আর আম্বেদকর হাসপাতালের সিস্টার ভাবনার সঙ্গে কথা বলেন, করোনা রোগীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে করোনাজয়ী আরেক নার্স বলেন, “উপসর্গ দেখা দিলেই আইসোলেশনে থাকুন। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ভয় পাবেন না। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। আয়ুর্বেদিক কাড়া ও গরম জল খান।” একইসঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন: ‘অক্সিজেনের কোনও অভাবই নেই, পর্যাপ্ত আছে রেমডিসিভির’, দাবি যোগীর