Delhi Meat Shop: ধর্মীয় স্থানের কাছে খোলা যাবে না মাংসের দোকান, নতুন নিয়ম এই শহরে
সব ধর্মেরই ধর্মীয় স্থান, উপাসনাস্থল বা সৎকার কেন্দ্র থেকে মাংসের দোকানের দূরত্ব থাকতে হবে ১৫০ মিটার। কেবল মাংসের দোকানই নয়। মাংস প্রসেসিং ইউনিট, মিট স্টোরেজ বা প্যাকেজিং প্ল্যান্ট কোনও কিছুই রাখা যাবে না। নতুন লাইসেন্স প্রদান বা পুরনো লাইসেন্স নবীকরণের সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দিল্লি পুরনিগম।
নয়াদিল্লি: মাংসের দোকান নিয়ে নতুন নীতির ঘোষণা করেছে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অব দিল্লি (এমসিডি)। মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি রেজিলিউশন পাশ হয়েছে দিল্লি পুরনিগমে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দিল্লিতে যে কোনও ধর্মীয়স্থান থেকে মাংসের দোকানের দূরত্ব হতে হবে অন্তত ১৫০ মিটার। অর্থাৎ ধর্মীয় স্থানের ১৫০ মিটারের মধ্যে কোনও মাংসের দোকান থাকবে না। এবং ধর্মীয় স্থান থেকে দোকানের দূরত্ব ১৫০ মিটার হলে তবেই লাইসেন্স দেবে দিল্লি পুরনিগম। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ মিট ট্রেডার্স বডি। তাঁরা এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
সব ধর্মেরই ধর্মীয় স্থান, উপাসনাস্থল বা সৎকার কেন্দ্র থেকে মাংসের দোকানের দূরত্ব থাকতে হবে ১৫০ মিটার। কেবল মাংসের দোকানই নয়। মাংস প্রসেসিং ইউনিট, মিট স্টোরেজ বা প্যাকেজিং প্ল্যান্ট কোনও কিছুই রাখা যাবে না। নতুন লাইসেন্স প্রদান বা পুরনো লাইসেন্স নবীকরণের সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দিল্লি পুরনিগম। এই নিয়মের লঙ্ঘন হলে মোটা টাকা জরিমানার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে দিল্লি পুরনিগমের এই রেজোলিউশনে। ধরুন, কেউ মসজিদ থেকে ১৫০ মিটার বা তার বেশি দূরে পর্কের দোকান খুলতে চাইছেন। এ ক্ষেত্রে ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষ বা মসজিদের ইমামের থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আনতে হবে। তবেই অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও এ রকম নিয়ম উল্লেখিত হয়েছে।