Jammu-Kashmir: কাশ্মীরে সন্ত্রাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের ১০ দফা পদক্ষেপ, পাথর ছোড়া এখন অতীত

Jammu and Kashmir terrorism: গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় প্রতিদিনই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে চলেছে। এর মধ্যে, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রদীপ কুমার সিং। কী জবাব দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর?

Jammu-Kashmir: কাশ্মীরে সন্ত্রাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের ১০ দফা পদক্ষেপ, পাথর ছোড়া এখন অতীত
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jul 30, 2024 | 3:34 PM

নয়া দিল্লি: গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় প্রতিদিনই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে চলেছে। বিশেষ করে জম্মুর বিভিন্ন জেলায় জঙ্গি হামলার সংখ্যা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রদীপ কুমার সিং। জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে, সরকার আদৌ কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা, জানতে চেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই), এই বিষয়ে লিখিত জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী, নিত্যানন্দ রাই। তিনি জানিয়েছেন, এই এলাকায় ‘সন্ত্রাসবাদী ইকো-সিস্টেম ভাঙতে’, সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান আটকানো হচ্ছে এবং দেশবিরোধী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

লিখিত জবাবে নিত্যানন্দ রাই লিখেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার নীতি রয়েছে। সরকারের পন্থা হল সন্ত্রাসবাদী ইকো-সিস্টেমকে ধ্বংস করা। জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।” এর জন্য কী কী কৌশল নেওয়া ও পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এর মধ্যে রয়েছে –

  • সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থনকারী কাঠামোর বিরুদ্ধে কার্যকর, ধারাবাহিক এবং টেকসই পদক্ষেপ
  • সন্ত্রাসবাদী ইকোসিস্টেমের বিরুদ্ধে হোল অব গভর্নমেন্ট পন্থা ব্যবহার করা
  • আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সহযোগীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং দেশবিরোধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান আটকানো
  • সন্ত্রাসবাদীদের কৌশলগত সমর্থকদের সনাক্ত করা
  • অনুপ্রবেশ আটকানো
  • সন্ত্রাসবাদ বিরোধী গ্রিডকে জোরদার করা
  • সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকিকরণ ও জোরদার করা
  • কৌশলগত এলাকাগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নাকা চেকিং
  • রিয়েল টাইমে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার
  • অনুসন্ধান অভিযান জোরদার করা

এই সকল পদক্ষেপে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার সংখ্যা কমেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। চলতি বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত সংহীত তথ্য অনুযায়ী, এই বছর এই অঞ্চলে ১১টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। এনকাউন্টার এবং কাউন্টার-টেরোরিস্ট অপারেশন হয়েছে ২৪টি। এই পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে আর অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪টি। ২০১৮ সালে যেখানে ১৩২৮টি সংগঠিত পাথর নিক্ষেপ এবং ৫২টি সংগঠিত হরতাল হয়েছিল, ২০২৩ এবং এই বছর এখনও পর্যন্ত একটিও পাথর ছোড়া বা হরতাল ঘটেনি।

তবে, গত দেড় মাসে জম্মু ও কাশ্মীর একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার সাক্ষী হয়েছে। হামলা যে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ৯ জুন জম্মুর রিয়াসি জেলায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ৯ জন তীর্থযাত্রীর। তারপরহ থেকে জম্মুর বিভিন্ন জেলায় একের পর এক হামলা এবং এনকাউন্টার ঘটেছে। বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্য ও সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে।