PM-PRANAM: বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে চালু পিএম-প্রণাম প্রকল্প, রাজ্যগুলি পাবে ৩.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা

Modi cabinet approves PM-PRANAM: বুধবার (২৮ জুন), নতুন প্রকল্প পিএম-প্রণাম (PM-PRANAM) অনুমোদন করল মোদী মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পের রূপায়ণে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কী এই প্রকল্প, জেনে নিন বিস্তারিত।

PM-PRANAM: বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে চালু পিএম-প্রণাম প্রকল্প, রাজ্যগুলি পাবে ৩.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2023 | 5:33 PM

নয়া দিল্লি: রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে, কৃষি ক্ষেত্রে বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে চায় কেন্দ্র। আর তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসাহ দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার (২৮ জুন), নতুন প্রকল্প পিএম-প্রণাম (PM-PRANAM) অনুমোদন করল মোদী মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পের রূপায়ণে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এদিন এই বিষয়ে মন্ত্রিসভার এক বৈঠক হয়। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাব্য বলেছেন, “আগামী তিন বছরে, মোদী সরকার কৃষকদের কল্যাণের জন্য ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে।” রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে এই অর্থ তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

কী এই পিএম-প্রণাম প্রকল্প?

‘প্রোমোশন অব অল্টারনেটিভ নিউট্রিয়েন্টস ফর এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট’ – এই এত বড় নামটিকে ছোট করে বলা হয় ‘প্রণাম’ (PRANAM)। রাসায়নিক সারের সুষম ব্যবহার এবং বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসাহ দিতে এই প্রকল্প চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় এই প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে, ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচার ফর রবি ক্যাম্পেইন’-এ প্রথম বিকল্প সারের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই নয়া প্রকল্প চালুর ফলে, রাসায়নিক সারের ক্ষেত্রে ভর্তুকির বোঝা কমবে বলে আশা করছে কেন্দ্র।

এই প্রকল্পের অধীনে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে, সরকার রাসায়নিক সারের ভর্তুকি হিসাবে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই ভর্তুকির টাকা থেকে যে রাজ্যগুলি অর্থ বাঁচাতে পারবে, তারা তাদের বাঁচানো ভর্তুকির ৫০ শতাংশ অনুদান হিসাবে ফেরত পাবে। এর ৭০ শতাংশ সম্পদ তৈরি এবং বিকল্প সার ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে হবে। বাকি ৩০ শতাংশ দিতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত, কৃষি গোষ্ঠী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। এই অনুদানের মাধ্যমে এই স্থানীয় সংস্থাগুলিকে বিকল্প সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের আওতায় এই প্রকল্প চালু করা হল। এই প্রকল্প চালুর পর, দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কতটা কমে, সেটাই দেখার।