কোটি কোটি টাকা কীভাবে এল বিচারপতি ভর্মার বাড়িতে? ঘনঘন বৈঠকে কেন্দ্র-বিরোধীরা
Money Recovery from Delhi High Court Judge's House: গতকালই বিচারপতি যশবন্ত ভর্মা ইস্যুতে রাজ্যসভার ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাজ্যসভার দলনেতা জেপি নাড্ডা এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন তিনি।

নয়া দিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার নিয়ে ক্রমাগত জলঘোলা হচ্ছে। একদিকে যেমন তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে আবার কেন্দ্রও চিন্তায়। ঘনঘন বৈঠক করা হচ্ছে। গতকাল, মঙ্গলবারই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় রাজ্যসভার ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ বিচারপতি ভর্মা ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলের ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে সংসদে কথা বলবেন জেপি নাড্ডা।
সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভর্মার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনা প্রেক্ষিতে সব রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চাইবেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে। কীভাবে বিচারপতির বাড়িতে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা এল, এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল, কোনও মামলা প্রভাবিত হয়েছে কি না, এই প্রশ্ন গুলিও উঠেছে।
গতকালই বিচারপতি যশবন্ত ভর্মা ইস্যুতে রাজ্যসভার ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাজ্যসভার দলনেতা জেপি নাড্ডা এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন তিনি।
রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান যে যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সমস্ত নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন, তবুও বিরোধী দলনেতা বিচারব্যবস্থার এই বিষয়ে উচ্চ সদনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সমস্ত ফ্লোর লিডারদের বৈঠক করা হল।
প্রসঙ্গত, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন বিচারপতির তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কমিটিতে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরমন।
অন্যদিকে, রাজ্যসভার চেয়ারম্য়ানের এই বৈঠক নিয়ে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সব রাজনৈতিক দলের ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে বৈঠকে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন জগদীপ ধনখড়। সাংবিধানিক পদে থেকে এই বক্তব্যের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশকে সাংবিধানিক পদে আসীন কোন ব্যক্তি সমালোচনা করতে পারেন না। যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তার সংসদের অভ্যন্তরে আলোচনা করতে হবে। কারও আন্টি চেম্বারে নয়। সংসদীয় রীতিনীতিকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করা হচ্ছে।”





