Monkey Fever: করোনার পর এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কি ফিভার, এই রোগের কারণ ও উপসর্গ জানুন
Monkey Fever: মাঙ্কি ফিভার আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলিতেও বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গ্রাম সভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও স্বাস্থ্য অধিকারিকেরা এই রোগের বিষয়ে একাধিক বৈঠক করছেন এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. নীরজ বি।
বেঙ্গালুরু: উদ্বেগের অন্ত নেই। করোনা ভাইরাসের দাপট কিছুটা কমেছে তো এবার ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে মাঙ্কি ফিভার সংক্রমণ। গত ১৫ দিনে কর্নাটকে মাঙ্কি ফিভার (Monkey Fever) সংক্রমণ সিদ্দারামাইয়া সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কেবল একটি জেলাতেই মাঙ্কি ফিভার সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১২ জন রোগী। এছাড়া বাড়িতে চিকিৎসায় রয়েছে আরও অনেক রোগী।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কর্নাটকের উত্তরা কান্নাড়া জেলায় মাঙ্কি ফিভার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছর এই রোগে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মেলে গত ১৬ জানুয়ারি। তারপর গত ১৫ দিনে এই জেলায় ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি। অধিকাংশ রোগী সিদ্ধাপুর তালুক এলাকার।
মাঙ্কি ফিভার কী ও কীভাবে সংক্রমিত হয়?
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত বাঁদরের কামড় থেকেই মাঙ্কি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। সরাসরি মানুষের দেহে বাঁদরের কামড় হোক অথবা বাঁদরের কামড় বসানো ফল খেলেও এই রোগের সংক্রমণ ছড়ায়।
মাঙ্কি ফিভারের উপসর্গ
উত্তর কান্নাড়া জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. নীরজ বি জানান, মাঙ্কি ফিভারে আক্রান্ত হলে তিন থেকে পাঁচ দিন অতিরিক্ত জ্বর থাকবে। এছাড়া গা-হাতে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং সঙ্গে সর্দি কাশি থাকবে।
সতর্কতা জারি
উত্তরা কান্নাড়া জেলায় যেভাবে মাঙ্কি ফিভার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করতেই প্রশাসনের তরফে তৎপরতা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। বিশেষত, যাঁরা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় থাকেন তাঁদের বাঁদরের থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বনকর্মীরাও এ ব্যাপারে সচেতনতা শুরু করেছেন। কারও মাঙ্কি ফিভারের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে বনকর্মীরা।
হাসপাতালগুলিতে তৎপরতা
মাঙ্কি ফিভার আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলিতেও বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গ্রাম সভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও স্বাস্থ্য অধিকারিকেরা এই রোগের বিষয়ে একাধিক বৈঠক করছেন এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. নীরজ বি।