Odisha Suicide Case: ডুবিয়ে দিল আইপিএল! একের পর এক ম্যাচে হার, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মা-ছেলে
Odisha Suicide Case: ৫৫ বছর বয়সী ওই মহিলার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। চার বছর আগে ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু চাপ বাড়ছিল দেনা মেটানো নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না মেটানোয় বাড়িতে হানা দিতে শুরু করেছিল পাওনাদারেরা।
ভুবনেশ্বর: খেলা দেখতে পছন্দ করতেন মা-ছেলে দুজনেই। অনেক সময় ম্যাচের হার-জিত নিয়ে তাদের ভবিষ্যতবাণীও মিলে যেত। সেখান থেকেই মাথায় এসেছিল বুদ্ধি। ভেবেছিলেন, মাথায় যে দেনার দায় চেপে বসে আছে, তা আইপিএলে বেটিং করে টাকা রোজগারের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলবেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হলে যা হয়! যে ম্যাচে যে দলের উপরই টাকা লাগাচ্ছেন, সেই দলই হেরে যাচ্ছে। এদিকে দেনার বোঝা বেড়েই চলেছে। নিরুপায় হয়ে এই পরিস্থিতিতে তাই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মা-ছেলে। শনিবার ওড়িশার (Odisha) রায়গড় জেলার বাসিন্দা এক মহিলা ও তাঁর ছেলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ বছর বয়সী ওই মহিলার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। চার বছর আগে ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু চাপ বাড়ছিল দেনা মেটানো নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না মেটানোয় বাড়িতে হানা দিতে শুরু করেছিল পাওনাদারেরা। কীভাবে সহজে টাকা রোজগার করবেন, সেই চিন্তাভাবনাই করছিলেন। চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টে অনেকেই বেটিং করে টাকা রোজগার করছেন, এই কথা জানতে পেরে তারাও বেটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বেটিংয়ের টাকা পাবেন কোথা থেকে? বাধ্য হয়ে ফের টাকা ধার নেন তারা।
তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। সেই কারণে যে ম্য়াচেই টাকা লাগাচ্ছিলেন, সেই দল হেরে যাচ্ছিল। রোজগারের বদলে জমানো শেষ সম্বলটুকুও শেষ হয়ে যায়। এরপরই ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে আত্মহত্য়ার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার রাতে তারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশীরা তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের রায়গড় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকালে প্রথমে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁর মায়েরও মৃত্যু হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই কয়েকজন পাওনাদার ওই মহিলা ও তাঁর ছেলেকে বাইরে থেকে তালাবন্দি করে দিয়ে চলে গিয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিগত তিনদিন ধরে ওই মহিলা কোনও কিছু খাননি। তিনদিন আগেই কয়েকজন পাওনাদার বাড়িতে এসে অশান্তি করেন এবং ফ্রিজ, ইনভার্টার সহ বেশ কিছু দামি জিনিস তুলে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পর থেকে তারা মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন।