Sonarpur: চিনে গিয়ে কী করছিল? সোনারপুর থেকে ধরা পড়ল ৫ বাংলাদেশি
Sonarpur: ধৃত পাঁচ বাংলাদেশির নাম তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ জলিল ৷ এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তাঁরা এদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গি্য়েছে ৷
সোনারপুর: বাংলাদেশ ইস্যুতে সক্রিয় বিএসএফ থেকে এ রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু করে এমনকী খাস কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয়েছে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এবার বেআইনিভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার পাঁচ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে একজন আবার চিন থেকে ঘুরে এসেছে বলে খবর।
ধৃত পাঁচ বাংলাদেশির নাম তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ জলিল ৷ এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তাঁরা এদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গি্য়েছে ৷ ধৄতদের মধ্যে জলিল ভারতে এসে জাল আধার কার্ড তৈরি করেছে বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে ৷ বাংলাদেশের ঢাকা, কুস্তিয়া, বড়িশাল ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি পুলে পুলিশ সুত্রে খবর ৷ ধৄতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের থানায় মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন চিনেও গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রত্যেকের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশি সিমকার্ড ৷
পুলিশ সুত্রে খবর, ২৩ সালে জুলাই মাস নাগাদ তারা ভারতে আসে ৷ তারপর থেকে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছিল ৷ সবাই একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করত ৷ সেই সূত্র ধরেই তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করে বলে প্রাথমিক জ্ঞিসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুন্ঠপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর এখানে এসে তারা কোনও বেআইনি কাজকর্মে জড়িত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা এখানেই থেকে যায় ৷ এখানে থেকে কাজকর্মও শুরু করে তারা ৷ একবছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল এই পাঁচজন।এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, তাঁরা কেউই সেইভাবে মেলামেশা করত না। ফলে তাদের সম্পর্কে প্রতিবেশীরা কেউই খুব একটা কিছু জানে না। তবে যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।