Cooch Behar: পুলিশ যেতে পারছে না তো কী হয়েছে! ড্রোন উড়তেই মাথায় হাত আফিম কারবারিদের, নতুন বছরেই কোপে হাজার বিঘার বেশি জমি
Cooch Behar: কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়ের সহযোগিতাতেই আফিম চাষ নির্মূল করার কাজে অনেকটাই গতি এসেছে। কাজে আসছে ড্রোন। দুর্গম এলাকায় যেখানে যাওয়া আপাতভাবে সম্ভব নয়। সেখানেও ফেলা হচ্ছে কীটনাশক।
কোচবিহার: জেলাজুড়ে আফিম চাষের রমরমা। বিভিন্ন নদীর চড়ে গড়ে প্রকাশ্যে দিবালোকেই চলছে চাষ। দুর্গম এলাকায় যেখানে সচরাচরন মানুষের আনাগোনা বেছে নেওয়া হচ্ছে সেই জায়গাগুলিকে। সেখানেই আফিম চাষের জন্য গ্রামবাসীদের উৎসাহ দিচ্ছে অসাধু কারবারিরা। পুলিশের তরফে প্রতি বছর পালা করে ট্রাক্টার দিয়ে কিছু এলাকায় চাষ বন্ধ করা হলেও তাতে যে সমস্যা পুরোপুরি মিটছে এমনটা নয়। শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এবারে ড্রোনের সাহায্য নিয়ে আফিম চাষ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে কোচবিহার পুলিশ।
বিঘার পর বিঘা জমিতে কীটনাশক ছাড়িয়ে বন্ধ করা হচ্ছে আফিম চাষ। পুলিশের দাবি, অন্যবারের তুলনায় এতে সাফল্য এসেছে অনেক বেশি। কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়ের সহযোগিতাতেই আফিম চাষ নির্মূল করার কাজে অনেকটাই গতি এসেছে। কাজে আসছে ড্রোন। দুর্গম এলাকায় যেখানে যাওয়া আপাতভাবে সম্ভব নয়। সেখানেও ফেলা হচ্ছে কীটনাশক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গত বছরের ডিসেম্বরে ৯৪৫ বিঘা ও ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ১৩০০ বিঘার বেশি জমির পোস্ত চাষ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বেআইনি আফিম চাষের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা।