Alur Dom: যে দিকে চোখ যাবে সেদিকেই শুধু… বাংলার বুকেই চলছে আলুর দমের অভিনব মেলা
Alur Dom: এই মেলায় যে সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি হয় তাতেও রয়েছে অভিনবত্ব। মূলত কৃষকদের কাজে লাগে এই সব জিনিসই বিক্রি করা হয় মেলায়। বসে নানা ধরনের দোকান। কোথাও বিক্রি হয় বেতের বোনা ধামাখুলের দোকান, তো কোথাও বাঁশের তৈরি ঝুড়ির দোকান, তো কোথাও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির দোকান।
জাঙ্গিপাড়া: বইমেলা, ফুলের মেলা তো ছিলই, তাই বলে আলুর দমের মেলা? এই মেলাই বসেছে হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার রাজবলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জান্দা গ্রামে। ভিড় জমছে হাজার হাজার মানুষের। তবে এই মেলা যে নতুন এমনটা নয়। বেশ কয়েক দশক ধরেই মকর সংক্রান্তির দিন এই গ্রামে বসছে আলুর দমের মেলা। মেলার হাত ধরেই দেখা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যন্য ছবি। একদিকে চলে মুসলিম ধর্মালম্বীদের পীরের মেলা, অন্যদিকে একই স্থানে আরাধনা করা হয় গঙ্গা দেবীর।
এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। মকর সংক্রান্তির দিনে সেখানে বহু মানুষই মকর স্নান করে থাকেন। স্নান সেড়ে যোগ দেন মেলায়। এখানেই রয়েছে চমক। সকলেই খান একই খাবার। আলুর দম-মুড়ি। আর সেই আলুর দম তৈরি হয় একেবারে নতুন আলু দিয়ে। প্রসঙ্গত, শীতের এই সময় হুগলির এই অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক আলু চাষ হয়। ডিসেম্বরের শেষ জানুয়ারি থেকেই বাজারে এসে যায় নতুন আলু। সেই আলু মূল আকর্ষণ এই মেলার।
এমনকী এই মেলায় যে সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি হয় তাতেও রয়েছে অভিনবত্ব। মূলত কৃষকদের কাজে লাগে এই সব জিনিসই বিক্রি করা হয় মেলায়। বসে নানা ধরনের দোকান। কোথাও বিক্রি হয় বেতের বোনা ধামাখুলের দোকান, তো কোথাও বাঁশের তৈরি ঝুড়ির দোকান, তো কোথাও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির দোকান। রাজবলহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব শীল বলছেন, “এটা আসলে পীরের মেলা। প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই মেলা চলে আসছে। শুরুতে সংখ্যালঘুরা এই মেলায় যোগ দিলেও, পরে হিন্দু ধর্মের লোকেরাও এতে মিলে যায়। কিন্তু, এখানের সব থেকে বড় আকর্ষণ আলুর দম। সব মানুষই এখানে আসে আলুর দম নিয়ে। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে চলে খাওয়া-দাওয়া।”