Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত মুখ্যমন্ত্রী! তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল

MUDA Scam: রাজ্যপালের সেক্রোটারিয়েটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮-র ১৭ ধারা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২১৮ ধারার অধীনে রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত মুখ্যমন্ত্রী! তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Aug 17, 2024 | 12:57 PM

বেঙ্গালুরু: দুর্নীতিতে নাম জড়াল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। এবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, মাইসুরু আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথারিটির অধীনে জমি বরাদ্দ করা নিয়ে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রাজ্যপাল থাওয়ারচন্দ গেহলট এই তদন্তে সম্মতি জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম  স্নেহামাভি কৃষ্ণা নামক তিন সমাজকর্মীর পিটিশনের ভিত্তিতেই মুদা (মাইসুরু আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথারিটি) দুর্নীতির তদন্তে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের সেক্রোটারিয়েটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮-র ১৭ ধারা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২১৮ ধারার অধীনে রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফেও এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এই দুর্নীতির অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় প্রণোদিত বলে জানিয়েছিলেন।

গত মাসেই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এই দুর্নীতি মামলায় শোকজ নোটিস দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ এবং কেন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত নয়, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে। কিন্তু জবাব দেওয়ার বদলে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যপালকে তদন্তে অনুমতি না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রস্তাবনা আনা হয়। রাজ্যপাল ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়।

মুডা (MUDA) কেলেঙ্কারি কি? 

২০২১ সালে মুডা উন্নয়নের জন্য মাইসুরু বা মহীশূরের কেসার গ্রামে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীর কাছ থেকে তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এর বিনিময়ে তাঁকে দক্ষিণ মহীশূরের নামজাদা এলাকা বিজয়নগরে জমি  দেওয়া হয়। বিজয়নগরের জমির দাম তাঁদের জমির তুলনায় অনেক বেশি ছিল। মুডা কর্তৃক এসব জমি বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী, ছেলের বিরুদ্ধে মুডা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)