Nallathamby Kalaiselvi: ইতিহাস! দেশের শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থার মাথায় প্রথম মহিলা বস

ইতিহাস গড়লেন দেশের বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানী নল্লাথাম্বি কালাইসেলভি। শনিবার বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল বা সিএসআইআর (CSIR)-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে।

Nallathamby Kalaiselvi: ইতিহাস! দেশের শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থার মাথায় প্রথম মহিলা বস
ইতিহাস গড়লেন দেশের বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানী নল্লাথাম্বি কালাইসেলভি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 6:38 PM

নয়া দিল্লি: ইতিহাস গড়লেন দেশের বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানী নল্লাথাম্বি কালাইসেলভি। শনিবার বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল বা সিএসআইআর (CSIR)-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হল তাঁকে। ফলে, তিনিই হলেন দেশের সেরা ৩৮টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্বদানকারী প্রথম মহিলা। এই পদে শেখর মান্ডের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। গত এপ্রিল মাসে অবসর নেন শেখর মান্ডে। তারপর জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব রাজেশ গোখলেকে এই পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

শনিবার শ্রম মন্ত্রকের এক আদেশে বলা হয়েছে, সিএসআইআর প্রধান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে নল্লাথাম্বি কালাইসেলভিকে। দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর অথবা পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত (যেটি আগে হবে) তিনি এই পদগে থাকবেন। পাশাপাশি তিনি বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা বিভাগের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

বর্তমানে তামিলনাড়ুর করাইকুড়িতে সিআইএসআর-এর সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (CSIR-CECRI) ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন নল্লাথাম্বি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবেই তিনি এই পদ গ্রহণ করেছিলেন। ওই ইনস্টিটিউটেই একজন এন্ট্রি-লেভেল বিজ্ঞানী তথা গবেষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে ধাপে ধাপে সিআইএসআর-এর শীর্ষপদে উঠে এসেছেন তিনি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁর অতুলনীয় অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত।

একেবারে সাধারণ ঘর থেকে এসেছেন নল্লাথাম্বি কালাইসেলভি। তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার ছোট্ট শহর আম্বাসামুধরামে তাঁর বাড়ি।য সেখানেই এক তামিল মিডিয়াম স্কুলে পড়তেন তিনি। কলেজ থেকেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল পাওয়ার সিস্টেম এবং বিশেষ করে ইলেক্ট্রোড উপাদানের বিকাশের বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

তাঁর গবেষণার মূল বিষয় ছিল, শক্তি সঞ্চয় যন্ত্রে ব্যবহারের উপযুক্ত অভ্যন্তরীণ ইলেক্ট্রোড উপকরণগুলির বৈদ্যুতিন রাসায়নিক মূল্যায়ন। মূলত, লিথিয়াম এবং অন্যান্য ব্যাটারি, সুপারক্যাপাসিটর এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে ইলেক্ট্রোড তৈরি এবং শক্তি সঞ্চয়ের জন্য ইলেক্ট্রোলাইট এবং ইলেক্ট্রোক্যাটালাইটিক অ্যাপ্লিকেশন বিকাশেই ছিল তাঁর আগ্রহ। বর্তমানে কার্যকর সোডিয়াম-আয়ন এবং লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি এবং সুপারক্যাপাসিটরের বিকাশের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। ন্যাশনাল মিশন ফর ইলেকট্রিক মোবিলিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। ১২৫টিরও বেশি গবেষণাপত্রের লেখিকা তিনি। ৬ টি পেটেন্টও রয়েছে।