Tiger Re-wilding: নন্দনকাননের ডোরাকাটা এবার ফিরবে জঙ্গলে, শীঘ্রই শুরু হবে প্রক্রিয়া
Nandankanan: বাঘদের রিওয়াইল্ডিং (প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঁচতে শেখা)প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর সময় লেগে যাবে বাঘেদের এই রিওয়াইল্ডিং-এর কাজ শুরু করতে।
ভুবনেশ্বর : ওড়িশার কথা উঠলে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির মনে প্রথমেই আসে পুরীর কথা। আর পুরীর কথা মাথায় এলেই একইসঙ্গে উঠে আসে নন্দনকাননের কথা। এবার নন্দনকাননের বাঘগুলিকে আবার অরণ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকা শেখানো হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে নন্দনকানন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর মনোজ ভি নায়ার জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রক্রিয়া চালাবে। চিড়িয়াখানার বাঘদের জেনেরিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তবে বাঘদের রিওয়াইল্ডিং (প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঁচতে শেখা)প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর সময় লেগে যাবে বাঘেদের এই রিওয়াইল্ডিং-এর কাজ শুরু করতে।
চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে একটি বাঘ রয়েছে নন্দন। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ওই বাঘটি এখানে রয়েছে। জঙ্গল থেকে এনে এখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বাঘটিকে। আমাদের লক্ষ্য ওই বাঘের শাবকদের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা, যেখানে বাঘের সংখ্যা কম, সেই সব জায়গায় ছাড়া হবে। যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে নন্দনকাননই হতে চলেছে বাঘেদের রিওয়াইল্ডিং করার ক্ষেত্রে প্রথম সফল চিড়িয়াখানা।”
প্রসঙ্গত, নন্দনের এবং তার সঙ্গী মেঘার পাঁচটি শাবক রয়েছে। প্রথমে ২০১৬ সালে দুটি শাবকের জন্ম হয়। পরে ২০২১ সালে আরও তিনটি শাবকের জন্ম হয়। উল্লেখ্য, রি-ওয়াইল্ডিং হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে কোনও বদ্ধ জায়গায় বেড়ে ওঠা প্রাণীদের প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকা শেখানো হয়। নন্দনকানন চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ২৬ টি বাঘ রয়েছে। তার মধ্যে ১৬ টি সাধারণ বাঘ, তিনটি কালো বাঘ এবং সাতটি সাদা বাঘ।
তবে এই রিওয়াইল্ডিং প্রক্রিয়া কতটা সফল হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, শিকার করতে শেখাটা প্রাকৃতিকভাবেই আসে। সেটা কীভাবে শেখানো যাবে? পাশাপাশি ওড়িশার জঙ্গলে চোরাশিকারীদের আনাগোনাও রয়েছে। বিগত দুই দশকে এই চোরাশিকারীদের জন্য ওড়িশার জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা অনেকটা কমেছে বলেই মত তাঁদের। সে ক্ষেত্রে বাঘেদের নিরাপদে রাখতে কতটা সফল হবে বন দফতর, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।