Crime News: ড্রেনের ভিতর ভাসছে কিশোরের লাশ, বন্ধুরাই কি মেরে দিল? তদন্তে পুলিশ
New Delhi: ৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল মনজিত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শেষবার ৫-৬ জন বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ওই কিশোরকে।
নয়া দিল্লি: প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে খোঁজ ছিল না ১৫ বছরের কিশোরের। এরপর ড্রেন থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। পুলিশের অনুমান, ৪-৬ জন মিলে ওই কিশোরকে খুন করে। তাকে মেরে ড্রেনে ফেলে দেয়। নয়া দিল্লির রোহিণীর এই ঘটনায় চার যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৫ বছরের ওই কিশোর পোশাক কিনেছিল একটি দোকান থেকে। তার টাকা বাকি ছিল। তার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান। ঘটনায় এক নাবালকেরও নাম জড়িয়েছে। সে পলাতক। এই ঘটনায় বন্ধুদের ভূমিকাও পুলিশের নজরে। পুলিশ জানিয়েছে, হর্ষিত (২১) ও বিক্রম (১৯) নামে দুই যুবকের বাবার কাপড়ের দোকান। সেই দোকান থেকে মনজিত চন্দ নামে ১৫ বছরের ওই কিশোর জামাকাপড় কিনেছিল। বেশ কিছু টাকা বাকি ছিল তার। পুলিশ জানিয়েছে, হত ২২ জানুয়ারি থানায় পিসিআরে ফোন আসে। জানানো হয়, ড্রেনে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। তবে তার কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে জানা যায়, দেহটি কোনও নাবালকের। তার মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অটোপসি রিপোর্টে জানা যায়, গুলি করে মারা হয়েছে তাকে। এরপরই পুলিশ জানতে পারে, এক নিখোঁজ কিশোরের সঙ্গে মিল রয়েছে উদ্ধার হওয়া দেহটির। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। বাড়ির লোকজন এসে শনাক্ত করে, এটি সেই মনজিতেরই দেহ।
৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল মনজিত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শেষবার ৫-৬ জন বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ওই কিশোরকে। এরপরই ওই বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তারা স্বীকারও করে সবটা। রোহিণীর কাছে ওই দোকান থেকে জামা কিনে টাকা না দেওয়ার কারণে এই ঘটনা। নিহতের বাবা জ্ঞান চন্দ বলেন, “কী করে এত অল্প বয়সী ছেলেদের হাতে পিস্তল এল সেটাই অবাক করছে। আমরা এই টাকার বিষয়টা জানতামও না। এতটুকু জানি আমাদের ছেলেকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে।”