Navjot Singh Sidhu: ‘সত্যের জন্য শেষ নিশ্বাস অবধি লড়ব’, নীতি সমঝোতায় নারাজ সিধু, কোন পথে হাঁটবেন এবার?
Navjot Singh Sidhu on his Resignation: রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত নভজ্যোত সিং সিধু পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গেও সিধুর বিরোধও সকলেরই জানা।
চণ্ডীগঢ়: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়তে নারাজ নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। বুধবার সকালেই তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “নিজের নীতি নিয়ে কোনও সমঝোতা করতে পারবো না, সত্যের জন্য আমার শেষ নিশ্বাস অবধি আমি লড়াই চালিয়ে যাব।”
এ দিন সকালেই তিনি টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, “আমার সমস্যা দল নিয়ে নয়, বিষয়ভিত্তিক। আমি এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়েছি। আমি নীতি বা মতাদর্শ নিয়ে কোনওদিন সমঝোতা করতে পারব না। আমি যা দেখেছি, তাতে পঞ্জাবের নানা বিষয় ও সমস্যা নিয়ে সমঝোতা করা হচ্ছে। আমি নিজেও শীর্ষ নেতৃত্বকে ভুল পথে চালিত করতে পারি না বা তাদের ভুলপথে চালিত হতে দিতেও পারি না।”
চার মিনিটের দীর্ঘ ওই ভিডিয়োয় সিধু পঞ্জাবী ভাষায় বলেন, “আমার সঙ্গে কারোর ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমার ১৭ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একটাই লক্ষ্য ছিল যে কিছু পরিবর্তন আনা এবং সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ও ধর্ম।”
हक़-सच की लड़ाई आखिरी दम तक लड़ता रहूंगा … pic.twitter.com/LWnBF8JQxu
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) September 29, 2021
সিধুর দাবি, তিনি নিজের নীতি ও মতাদর্শের সঙ্গে কোনও প্রকার সমঝোতা করতে পারবেন না। এই বিষয় নিয়ে আমার বেশি চিন্তাভাবনা করারও প্রয়োজন নেই। দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রী ও অফিসারদের নিয়োগ করার যে সিস্টেম ছিল, তা আমি ভেঙেছি। এ বার আর দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও মন্ত্রী বা অফিসারকে নিয়োগ করা হবে না।
রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত নভজ্যোত সিং সিধু পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)-র সঙ্গেও সিধুর বিরোধও সর্বজনবিদীত। দীর্ঘ টানাপোড়েন, বিরোধিতার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপরই দলের অন্দরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন নভজ্যোত সিং সিধু। তবে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi)।
সূত্রের খবর, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভা থেকে অমরিন্দর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিদায় জানালেও, নতুন মুখ্যমন্ত্রী যাদের মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনিক পদে জায়গা দিয়েছেন, তাতেও অখুশি নভজ্যোত সিং সিধু। যেমন, পুলিশ প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন আইপিএস অফিসার ইকবাল প্রীত সিং সাহোতা। তাঁর প্রসঙ্গে সিধু বলেন, “যখন দেখি যে ৬ বছর আগে বাদলদের ক্লিনচিট দিয়েছিল, তাঁকেই ন্যায় বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক।” একইভাবে এপিএস দেওয়লকে অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”যারা নিজেরাই জামিনে মুক্ত, তারাই নাকি অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব পাচ্ছেন।”
তবে সিধুর ক্ষোভের সবথেকে বড় কারণ হল রানা গুরজিৎ সিংকে পুনরায় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। বালি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত রানা গুরজিৎ সিংকে ২০১৮ সালেই মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। পরে তদন্তে তাঁকে নির্দোষ বলেই ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগে যাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় এসেই নয়া মুখ্যমন্ত্রী চন্নি তাঁকে ফিরিয়ে আনায় ক্ষুব্ধ সিধু।
একইসঙ্গে সিধুর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপ-মুখ্যমন্ত্রী এসএস রানধাওয়াকেও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় অসন্তুষ্ট সিধু। সূত্রের দাবি, সিধুকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করতে বললেও তিনি একাধিক শর্ত রেখেছেন, যা পূরণ না হবে তিনি ইস্তফাপত্র তুলে নেবেন না বলেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: পঞ্জাব কংগ্রেসে চলছে চুলোচুলি, রাহুল তবু কেরল সফরে!