Sharad Pawar: আগাড়ি জোটের নেতারা তো ফুল-মিষ্টি পাননি! রাজ্যপালের আচরণ নিয়েও এবার প্রশ্ন এনসিপি নেতার
Sharad Pawar: ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিচ্ছেন রাজ্যপাল। পেঠা (একধরনের মিষ্টি)-ও খাওয়াচ্ছেন।
মুম্বই: সরকার বদল হতেই আচরণ বদলে গিয়েছে রাজ্য়পালের। নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের দেখানো সৌজন্যবোধ নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকেই আক্রমণ করে শরদ পওয়ার বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের প্রতি রাজ্যপালের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করছি।”
চলতি সপ্তাহেই পতন হয়েছে মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের। বিধায়ক ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফেও মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট করার নির্দেশই দেওয়া হয়। এরপরই রাতে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে মুম্বইয়ে ফিরেই দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে দেখা করেন একনাথ শিন্ডে। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি শপথ নেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিই দুই মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। তবে এরপরের সৌজন্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার।
ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিচ্ছেন রাজ্যপাল। পেঠা (একধরনের মিষ্টি)-ও খাওয়াচ্ছেন। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার থাকাকালীন রাজ্যপালের মধ্যে এই সৌজন্যবোধ দেখা যায়নি বলেই কটাক্ষ করেন প্রবীণ এনসিপি নেতা। পুণেতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি টিভিতে একনাথ শিন্ডে ও দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখেছি। দেখলাম উনি (রাজ্যপাল) পেঠা খাওয়াচ্ছেন এবং ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। মনে হচ্ছে, ওনার মধ্যে কিছু গুণগত পরিবর্তন এসেছে।”
২০১৯ সালে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেই সময় কোশিয়ারি সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করে শপথ গ্রহণ করানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তখন উনি আমার দিকে আঙুল তুলে নিয়ম অনুযায়ীই শপথ গ্রহণ করা হোক বলে উল্লেখ করেছিলেন।”
তবে গত বৃহস্পতিবার একনাথ শিন্ডে যখন শপথ নেন, তখন তিনি বালা সাহেব ঠাকরে ও অনন্দ দীঘের নাম উল্লেখ করেছিলেন। সেই সময় রাজ্য়পাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি বাধা দেননি বলেই অভিযোগ শরদ পওয়ারের। রাজ্য় সরকার ও রাজ্যপালের মধ্য়ে সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যে মন্ত্রী পরিষদ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সর্বদা রাজ্যপালের সম্মতির প্রয়োজন হয়। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার রাজ্যপাল কোটার অধীনে বিধান পরিষদের সদস্য হিসাবে ১২ জনের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তিনি কখনওই ওই তালিকা অনুমোদিত করেননি। বর্তমানে নতুন সরকারের জন্য তিনি দ্রুত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানা গিয়েছে।”