NEET-UG 2024: ফের নেওয়া হবে নিট পরীক্ষা? তিন প্যারামিটার বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত
NEET-UG 2024: সোমবার (৮ জুলাই) নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষা ফের নেওয়ার বিষয়ে একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি শুরু হল। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ করে, ওই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ৩৮টি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন এই আবেদনগুলির শুনানি শুরু করল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর একটি বেঞ্চ। বেঞ্চ বলেছে, পরীক্ষার পবিত্রতাই হারিয়ে গেলে, ফের পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিতে হবে।
নয়া দিল্লি: প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ‘স্বীকৃত সত্য’। সোমবার (8 জুলাই) নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষা ফের নেওয়ার বিষয়ে একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি করার সময়, এমনই মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি আরও বলেছেন, “ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন ফাঁসের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে হবে। ভুললে চলবে না, ২৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এর সঙ্গে জড়িয়ে।” মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ করে, ওই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ৩৮টি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন এই আবেদনগুলির শুনানি শুরু করল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর একটি বেঞ্চ। বেঞ্চ বলেছে, পরীক্ষার পবিত্রতাই হারিয়ে গেলে, ফের পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিতে হবে।
প্রায় দুই ঘন্টা ধরে শুনানির পর, আদালত একটি বিশদ আদেশ দেয়। আবেদনকারীদের সমস্ত মূল যুক্তি রেকর্ড করা হয়েছে। এই অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। শীর্ষ আদালত এদিন সিবিআই-কে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরীক্ষার বিষয়ে এনটিএ এবং ভারত সরকারকেও স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারা এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিশদে জানাতে বলা হয়েছে। নিটের কাউন্সেলিং সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আরও পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করার সময়, বেঞ্চ জানিয়েছে, ফের নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা, তিনটি প্যারামিটারের ভিত্তিতে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “ফের পরীক্ষা নেওয়া উচিত কিনা, তা, তিনটি প্যামিটারের উপর নির্ভর করছে – আদালতকে দেখতে হবে, যে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, তা পদ্ধতিগতভাবে করা হয়েছে কিনা। দেখতে হবে, এই অনিয়ম কি পুরো পরীক্ষার প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে নিয়েই প্রশ্ন তুলছে কিনা। জালিয়াতির সুবিধাভোগীদের থেকে নির্দোষ ছাত্রদের আলাদা করা সম্ভব কিনা।”
শুনানির সময়, এদিন এনটিএ এবং কেন্দ্রকে আদালত প্রশ্ন করে, “আমরা কি এখনও অন্যায়কারী প্রার্থীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি?” এনটিএ জানায়, সিবিআই অভিযোগগুলি তদন্ত করছে এবং ছয়টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। সিজেআই বলেন, “সুতরাং, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল এটি একটা স্বীকৃত সত্য।” তিনি আরও বলেন, “মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার পবিত্রতাই যদি হারিয়ে যায়, যদি এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা হয়, তবে ফের পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিতে হবে৷ টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে, তবে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।” সুপ্রিম কোর্ট আরও পর্যবেক্ষণ করেছে যে সারা দেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বহু-শৃঙ্খলা কমিটি তৈরি করা উচিত।