একাধিক দেশে ছড়িয়ে থাকতে পারে করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’! আশঙ্কা হু-র প্রধান বিজ্ঞানীর
যদি অন্যান্য দেশ ভাইরাসের জিনের তথ্য নিয়ে গবেষণা করে তাহলে হয়তো এই নতুন 'স্ট্রেন' বা এই ধরনের 'স্ট্রেন' সেই দেশগুলিতেও পাওয়া যাবে। এমনটাই আশঙ্কা তাঁর।
নয়া দিল্লি: ব্রিটেন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে ছড়াতে শুরু করেছে অভিযোজিত করোনাভাইরাস (COVID-19)। ইতালি, অস্ট্রেলিয়াতেও ধরা পড়েছে সংক্রমণ। যা নিয়ে চিন্তায় গোটা বিশ্ব। এমতাবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানালেন, বিশ্বের আরও একাধিক দেশে থাকতে পারে করোনার এই নতুন স্ট্রেন।
তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন এখনই নিশ্চিত হয়ে নতুন ‘স্ট্রেন’ সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। এর আগে একাধিকবার অভিযোজন দেখা গিয়েছে করোনার। সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের তথ্য অনুযায়ী ৭০ শতাংশ দ্রুত সংক্রমণ হওয়া এই ‘স্ট্রেন’ করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলবে তা জানার জন্যও আরও গবেষণা প্রয়োজন।
সংবাদ মাধ্যমে স্বামীনাথন জানান, ব্রিটেন ভাইরাসের জিনের পরিবর্তন কড়া নজরে রেখেছিল। যদি অন্যান্য দেশ ভাইরাসের জিনের তথ্য নিয়ে গবেষণা করে তাহলে হয়তো এই নতুন ‘স্ট্রেন’ বা এই ধরনের ‘স্ট্রেন’ সেই দেশগুলিতেও পাওয়া যাবে। এমনটাই আশঙ্কা তাঁর। ব্রিটেনে পাওয়া নতুন ‘স্ট্রেন’-এর সঙ্গে আগের করোনাভাইরাসের জিনের গঠনের প্রায় ১৭ টি পরিবর্তন রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়ও অন্য একটি ‘স্ট্রেন’ ধরা পড়েছে।
সৌম্য স্বামীনাথনের মতে, এর আগেও একাধিকবার অভিযোজন করেছে করোনা। বিগত অভিযোজনের মতোই এটি একটি অভিযোজন হতে পারে। করোনার স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন হলে প্রতিষেধকের কার্যকরিতার উপর তার প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি বুঝতে আরও সপ্তাহখানেকের গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন হু-র প্রধান বিজ্ঞানী। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি দেশের উচিত ভাইরাসের জিনের সিকোয়েন্স নিয়ে আরও গবেষণা করা।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’, জানাল হু
তবে করোনা সম্পর্কিত সতর্কতা একই থাকছে। হু-র আপদকালীন প্রধান মাইকেল রায়ানও জানিয়েছেন, যেভাবে আগে করোনা সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছিল। সেই একই সতর্কতা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর মতে এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি করোনার নতুন ‘স্ট্রেন।’