Night Curfew: বিপদ কি তবে দাপট দেখানো শুরু করে দিল? ফের নাইট কার্ফু দিল্লিতে

Corona: দিল্লিতে রবিবার ২৯০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

Night Curfew: বিপদ কি তবে দাপট দেখানো শুরু করে দিল? ফের নাইট কার্ফু দিল্লিতে
ফের নাইট কার্ফু দিল্লিতে। ছবি পিটিআই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 8:59 PM

নয়া দিল্লি: রাজধানীতে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাপট বাড়াচ্ছে ওমিক্রন স্ট্রেন। সে কারণেই আবারও নাইট কার্ফু জারি হচ্ছে দিল্লিতে। সোমবার ২৭ ডিসেম্বর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে আম আদমি পার্টির সরকার। রাত ১১টা থেকে শুরু হবে কার্ফু। চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত।

দিল্লিতে রবিবার ২৯০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দিল্লির করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ০.৫৫ শতাংশ হয়েছে। যা অত্যন্ত চিন্তার বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এই নিয়ে দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৪,৪৩,৩৫২ জন। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫,১০৫। এই মুহূর্তে দিল্লিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১,১০৩ জন। এর মধ্যে ৫৮৩ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকা বর্তমানে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ধাক্কা সামাল দিতে বিভিন্ন দেশগুলি করোনার বুস্টার ডোজ়ের পথে হাঁটছে। ভারতে কবে থেকে করোনার বুস্টার ডোজ় শুরু হবে, তা নিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বড়দিনে সে প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে আগামী বছর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে করোনার তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে এটিকে সরাসরি বুস্টার ডোজ় বলছেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি এটিকে বলছেন প্রিকশন ডোজ়।

ওমিক্রন আতঙ্কে কার্যত ত্রস্ত রাজধানী দিল্লি। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জেলাশাসকদের নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল, শহরে যেন ক্রিসমাস এবং নববর্ষের উদযাপনে কোনও ধরনের জমায়েত যাতে না হয়। জাতীয় রাজধানীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা শনিবার সতর্কতার সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করেছে। বিভিন্ন চার্চগুলিতে তুলনামূলকভাবে কম লোকজন দেখা গিয়েছে।

শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল দিল্লিতে ১৮০। সেটাই শনিবার বেড়ে হয় ২৩৯। রবিবার তা এক ধাক্কায় বেড়ে হল ২৯০। গত ১৩ জুনের পর এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়নি করোনায়। জুনের ১৩ তারিখে আক্রান্ত হয়েছিল ২৫৫ জন। সেই সময় পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৩৫ শতাংশ। বছর শেষে যে গতিতে রাজধানীতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়।

আরও পড়ুন: Newtown Saras Mela: ‘দু’ একটা জিনিস বিক্রির পরই বলছে দোকান তোল’, নিউটাউন সরসমেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হকাররা