Nikki Yadav Murder Case: লিভ-ইন নয়, ২০২০ সালেই নিকিকে বিয়ে করেছিল সাহিল! দিল্লি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার অভিযুক্তের পরিবারও
Delhi Murder Update: পুলিশের তরফে জানানো হয়, বিয়ের ঠিক আগেরদিন লিভ-ইন সঙ্গী নিকি যাদবকে খুনের পরিকল্পনায় সাহায্য করেছিলেন অভিযুক্ত সাহিলের বাবা। তাঁর বুদ্ধি মতোই বাগদানের পর নিকির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সাহিল।
নয়া দিল্লি: নিকি যাদব হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। লিভ-ইন সম্পর্ক নয়, বিবাহিত ছিলেন নিকি ও সাহিল। ২০২০ সালেই গোপনে তারা বিয়ে করেছিল। তাদের এই বিয়ের কথা সাহিলের পরিবার জানত, এরপরও তারা সাহিলকে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য জোর করে, এমনকী অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদানের অনুষ্ঠানের রাতেই নিকিকে খুন করার পরিকল্পনাতেও সাহায্য করেছিল অভিযুক্ত সাহিলের পরিবার। শুক্রবার দিল্লি পুলিশের হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য আসল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনই দিল্লির বাইরে হাইওয়ের ধারে একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয় নিকি যাদব নামক বছর ২৩-র এক যুবতীর দেহ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাহিল গেহলটকে। সেই সময়ই জানা যায়, যে দিন নিকিকে খুন করেছিল সাহিল, সেদিন তাঁর অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়, পরেরদিন বিয়েও হয়।
কিছুটা দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের মতোই এই ঘটনায় তদন্তের জল যত গড়াচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শুক্রবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, বিয়ের ঠিক আগেরদিন লিভ-ইন সঙ্গী নিকি যাদবকে খুনের পরিকল্পনায় সাহায্য করেছিলেন অভিযুক্ত সাহিলের বাবা। তাঁর বুদ্ধি মতোই বাগদানের পর নিকির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সাহিল। গাড়িতেই চার্জিং কেবল গলায় পেঁচিয়ে খুন করে নিকিকে। এরপরে তাঁর দেহ নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিজেদের ধাবায় যায় সাহিল। সেখানে ফ্রিজে দেহ ঢুকিয়ে রেখে বাড়ি ফিরে আসে এবং বন্ধু বান্ধব, পরিবারের সঙ্গে হই-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে। পরেরদিন অন্য এক যুবতীকে বিয়েও করে সে। শুক্রবারই খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগে সাহিলের বাবা সহ পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
তদন্তে পুলিশের হাতে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তা হল, সাহিল ও নিকি লিভ-ইন সম্পর্কেই শুধু ছিলেন না, বরং তাঁরা বিবাহিত ছিলেন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসেই তাঁরা নয়ডার একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সাহিলের পরিবারের তরফে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করেন তারা। এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নিকি। বিয়ের দুইদিন আগে সাহিলের অন্যত্র বিয়ের কথা জানতে পারে নিকি। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে তুমুল বচসা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, ওই দিনই সাহিলের অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা বচসার পরেই গাড়ির মধ্যেই চার্জিং কেবল গলায় জড়িয়ে নিকিকে খুন করে সাহিল। এরপরে দেহ নিয়ে ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে মিত্রো গ্রামের বাইরে অবস্থিত তাদের নিজস্ব ধাবায় নিয়ে যায় এবং ধাবার ফ্রিজে দেহ ভরে রাখে।