এখনও ভয়াবহ রূপ নেয়নি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় জানালেন নীতি আয়োগের সদস্য

নয়া দিল্লি: রাজধানীতে করোনার দাপাদাপির পাশাপাশি নতুন করে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মিউকোরমাইকেসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, একাধিক করোনা রোগীর মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, যা প্রাণঘাতী রূপও নিতে পারে। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল শুক্রবার জানান, এটি এখনও সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি এবং এর […]

এখনও ভয়াবহ রূপ নেয়নি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় জানালেন নীতি আয়োগের সদস্য
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2021 | 11:31 AM

নয়া দিল্লি: রাজধানীতে করোনার দাপাদাপির পাশাপাশি নতুন করে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মিউকোরমাইকেসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, একাধিক করোনা রোগীর মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, যা প্রাণঘাতী রূপও নিতে পারে। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল শুক্রবার জানান, এটি এখনও সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি এবং এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধও রয়েছে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলতেই করোনা রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ বা গাল ফুলে যাওয়া এবং নাকে কালে শক্ত স্তর তৈরি হওয়াই এই সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, বিগত দু’দিনে তারা ছয়টি মিউকোরমাইকোসিসের রোগী ভর্তি করেছেন।

তবে শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে নীতি আয়োগের কর্তা বলেন, “মিউকোরমাইকোসিস নামক এই ছত্রাক সংক্রমণ করোনা রোগীদের মধ্যেই পাওয়া যায়। এটি মিউকর নামক একটি ছত্রাকের মাধমে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত যারা মধুমেহ রোগী, তাদের ক্ষেত্রেই এই সংক্রমংণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। এখনও অবধি বিশালাকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি এবং আমরা এই বিষয়ে কড়া নজর রাখছি।”

কারা আক্রান্ত হতে পারেন?

রোগীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “মিউকর সেই সমস্ত ব্যকগ্তিদেরই আক্রমণ করে, যাদের অনিয়ন্ত্রিত সুগার বা মধুমেহ থাকে। এছাড়াও মধুমেহ রোগীরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের ওষুধ, স্টেরয়েড নেন বা যাদের ক্যানসার রয়েথে, তাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। যদি রোগীরা ভেজা জায়গায় অনেকক্ষণ থাকেন, তবেও এই সংত্রমণ হতে পারে।”

সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়-

ভিকে পাল জানান, করোনা রোগের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসনস প্রেডনিসোলোন, ডেক্সোনা জাতীয় যে অসুস্থ গুলি ব্যবহার করা হয়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা চাপা পড়ে যায়। সেই সময়ই এই ছত্রাক আক্রমণ করে। যে সমস্ত রোগীদের অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, তাঁদের হিউমিডিফায়ারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, কারণ সেখান থেকে জল লিক করলে সংক্রমণ ছড়িয়েো পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

চিকিৎসা-

নীতি আয়োগদের সদস্য ভিকে পাল জানান, প্রথমতই যে সমস্ত করোনা রোগীদের মধুমেহ রয়েছে, তা সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমরা মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে স্টেরয়েড দিলেও করোনার ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা উচিত নয়। একইভাবে টোসিলিজ়ুমাব ও ইটোলিজুমাব কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যবহার করা উচিত। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: সোনওয়াল না বিশ্বশর্মা? অসমের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে দিল্লিতে তলব ২ নেতাকেই, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে আজই