যৌথবাহিনী ঘিরে ধরেছে চারিদিক থেকে, আটকে ২ জঙ্গি, অবন্তীপোরার এনকাউন্টারে খতম ১
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আটকে থাকা দুই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদ্দিন গোষ্ঠীর। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে, আত্মসমর্পণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
জম্মু: ফের এনকাউন্টার উপত্যকায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তীপোরায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। এখনও অবধি চলছে সেই এনকাউন্টার। শেষ খবর পাওয়া অবধি, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনর গুলিতে এখনও অবধি এক জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে এবং আটকে রয়েছে বাকি দুই জঙ্গি।
অবন্তীপোরার পাম্পোরের খেউ অঞ্চলে এনকাউন্টার শুরু হয়। রাজৌরির থানামান্ডি শহরেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়, অন্যদিকে আহত হন সেনাবাহিনীর এক জওয়ানও। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আটকে থাকা দুই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদ্দিন গোষ্ঠীর। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে, আত্মসমর্পণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে জঙ্গিরা গুলি চালালে নিরাপত্তা বাহিনীও গুলি চালাবে।
An encounter has started at Khrew, Pampore area of Awantipora. Police and security forces are on the job. Details awaited: Jammu & Kashmir Police
— ANI (@ANI) August 19, 2021
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “গতকাল রাতে অবন্তীপোরা পুলিশ মিজ পাম্পোর গ্রামে তল্লাশি অভিয়ান শুরু করে। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীও রয়েছে। গোপন সূত্রে খবর মেলে মসজিদ সংলগ্ন বাড়িটিতেই জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাবে যৌথ বাহিনীও গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। এরপরই জঙ্গিরা গিয়ে মসজিদে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তারা যখন পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যায়, ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। এখনও অবধি এক জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে।”
এর আগেও গত ১৭ জুন এই এলাকাতেই জঙ্গি উপস্থিতির খবর মিলেছিল। সেই সময় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চলায়। সেই সময়ও গুলির লড়া্ইয়ে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই দেশের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্টে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে আগামিদিনে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে অনুপ্রবেশের সংখ্যাও। সূত্রের খবর, সীমান্তের ও পারে লঞ্চ প্য়াডগুলিতে ইতিমধ্যেই জঙ্গি উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারকার্যের দিকেই সম্পূর্ণ নজর থাকায়, সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে তারা।
ইতিমধ্যেই নর্দান কম্যান্ডারের নির্দেশে বিশেষত কাশ্মীরের পাক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনাও। আরও পড়ুন: ভাবমূর্তি শুধরিয়ে কীভাবে ঝড় তোলা যাবে আসন্ন নির্বাচনে, জানতে ‘শাহি সাক্ষাৎ’ আদিত্যনাথের