J&K Encounter: সপ্তাহ শেষে বড় সাফল্য জঙ্গি দমন অভিযানে, গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হিজবুল জঙ্গি

J&K Encounter: কুলগামের খান্দিপোরার যে জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চলেছে, তা গোপালপোরা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে। গত ৩১ মে ওই এলাকাতেই জঙ্গিরা গুলি করে এক মহিলা শিক্ষিকাকে খুন করে।

J&K Encounter: সপ্তাহ শেষে বড় সাফল্য জঙ্গি দমন অভিযানে, গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হিজবুল জঙ্গি
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 9:48 AM

শ্রীনগর: সপ্তাহ শেষে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে শুরু হয় এনকাউন্টার। ওই এনকাউন্টারে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। গোটা এলাকাজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, মৃত ওই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর রাতে কুলগামের খান্দিপোরায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল যে ওই এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। রাতের অন্ধকারে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই আচমকা পিছন থেকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও, শুরু হয় এনকাউন্টার।

বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। পুলিশের অনুমান, আরও এক জঙ্গি আটকে রয়েছে। ওই জঙ্গির খোঁজে গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। মৃত ওই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, কুলগামের খান্দিপোরার যে জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চলেছে, তা গোপালপোরা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে। গত ৩১ মে ওই এলাকাতেই জঙ্গিরা গুলি করে এক মহিলা শিক্ষিকাকে খুন করে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জঙ্গিরা উপত্যকার একাধিক জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। কাশ্মীরী পন্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক, পরিযায়ী শ্রমিকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। উপত্যকার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফেও। দফায় দফায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরী পন্ডিতদের উপত্যকার নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে উপত্যকায় অশান্তির জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এদের শীর্ষকর্তারা সীমান্তের ওপার থেকেই যাবতীয় নির্দেশ ও নজরদারি চালাচ্ছে।