Parliament Update: লখিমপুর ইস্যুতে মিছিল বিরোধীদের, রাজ্যসভায় পেশ হতে পারে নির্বাচন আইন সংশোধনী বিল

Parliament Update: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ইস্তফার দাবিতে গান্ধীমূর্তি থেকে বিজয় চক অবধি মিছিল করবে বিরোধী দলগুলি। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গান্ধী।

Parliament Update: লখিমপুর ইস্যুতে মিছিল বিরোধীদের, রাজ্যসভায় পেশ হতে পারে নির্বাচন আইন সংশোধনী বিল
সংসদে করোনার হানা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2021 | 10:39 AM

নয়া দিল্লি: আজও লখিমপুর ইস্যু(Lakhimpur Kheri Issue)-তেই উত্তাল হতে পারে সংসদ (Parliament)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের (Ajay Kumar Mishra) ইস্তফার দাবিতে গান্ধীমূর্তি থেকে বিজয় চক অবধি মিছিল করবে বিরোধী দলগুলি। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। অন্যদিকে, আজ রাজ্য়সভায় পাশ হতে পারে নির্বাচন আইন সংশোধনী বিল ২০২১ (Election Rules Amendment Bill 2021)।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলের নাম লখিমপুর কাণ্ডে জড়ানোয় এবং সম্প্রতিই উত্তর প্রদেশ পুলিশের সিট কমিটির রিপোর্টে লখিমপুরে কৃষকমৃত্যুর ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করার পরই, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন।

গতকালও ফের একবার লখিমপুর ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দলের সাংসদরা ওয়েলে বিক্ষোভ দেখান।  বাধ্য হয়ে দুপুর দুটো অবধি রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে গতকালই গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে বিজয় চক অবধি বিরোধীরা মিছিল বের করার পরিকল্পনা করলেও, শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এই মিছিল শুরু করা হবে। কংগ্রেস, ডিএমকে, শিবসেনা সহ একাধিক দল এই মিছিলে যোগ দেবেন, নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

এদিকে, গতকাল লোকসভায় পেশ করা হয় নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল ২০২১ (Election Rules Amendment Bill 2021)। এই বিলে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি সহ একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই খসড়া বিলে।

যদিও কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর এই বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “আধার কার্ড কেবল বাসস্থানের প্রমাণ দেওয়ার জন্য ব্যবহারের কথা। এটা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। যদি ভোটারদের কাছ থেকে আধার কার্ড চাওয়া হয়, তবে তার বাড়ির ঠিকানাই পাবেন, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। আপনারা এই নতুন বিলের মাধ্যমে যারা ভোটার নন, তাদের হাতেও ভোট দেওয়ার ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন।”

এরপরই বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে। বিরোধিতার মাঝেই পাশ করিয়ে দেওয়া হয় এই সংশোধনী বিল। আজ রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করা হতে পারে। তবে বিরোধীরা সর্বতিক্রমে এই বিল যাতে পাশ না হয়, সেই চেষ্টা করবে বলে জানা গিয়েছে।

শীতকালীন অধিবেশন শেষ হতে আর তিনদিন বাকি।  অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন থেকে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের কারণে সরাসরি প্রভাব পড়ছে অধিবেশনের কার্যপ্রনালীতে। সংসদের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে ২০ ডিসেম্বর অবধি কাজের হার মাত্র ৩৭ শতাংশ। সংসদ সচল রাখার জন্য গত সপ্তাহেও বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। কিন্তু তারা বিক্ষোভের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন।

আরও পড়ুন: PM Modi in Prayagraj: এবার লক্ষ্য নারীর ক্ষমতায়ন, যোগীরাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী