পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেনে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা আইএসআই-র! নাশকতার ছক বানচাল গোয়েন্দা সংস্থার
পটনার এক রেলওয়ে পুলিশ আধিকারিক সম্প্রতি বিহারের ১১ জন পুলিশ সুপারিন্ডেন্টেটকে চিঠি লিখে নাশকতার ছকের বিষয়ে অবগত করেন।
পটনা: ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল পাকিস্তানের আইএসআই সংস্থা। উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যে ট্রেনগুলি চলাচল করে, সেগুলিতেই একাধিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল আইএসআইয়ের। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল।
নাশকতার সম্ভাবনায় ভারতীয় রেলওয়েকে সতর্ক করল ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী। মূলত উত্তর প্রদেশ ও বিহারের ট্রেনেই ট্রিগার বম্ব বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল পাক সংস্থা আইএসআই-র। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবে বসেই এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল। স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিহার ও উত্তর প্রদেশের একাধিক ট্রেনে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল। মূলত যে ট্রেনগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতায়াত করে, সেই ট্রেনগুলিকেই নিশানা বানানো হয়েছিল।
কীভাবে জানা গেল নাশকতার ছক?
পটনার এক রেলওয়ে পুলিশ আধিকারিক সম্প্রতি বিহারের ১১ জন পুলিশ সুপারিন্ডেন্টেটকে চিঠি লিখে নাশকতার ছকের বিষয়ে অবগত করেন। চিঠিতে বলা হয়, “পঞ্জাবে লুকিয়ে থাকা স্লিপার সেলদের টাইম বোমা দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে আইএসআই। এই বোমাগুলি বিহার ও উত্তর প্রদেশগামী ট্রেনগুলিতে লাগিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”ইতিমধ্যেই বিহার রেল পুলিশের হেডকোয়ার্টার্র তরফে রেলের এসপি, এসডিপিও, এসএইচও ও আউটপুট ইনচার্জদের সতর্ক করা হয়েছে। বেগুসরাই, জামুই, জাহানাবাদ, ভোজপুর, বক্সার, গাজিপুর, চন্ডৌলি সহ একাধিক জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দুই রাজ্য়েরই বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন রেল স্টেশনে নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
দ্বারভাঙা বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগ:
গত ১৭ জুন দ্বারভাঙা রেল স্টেশনে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়, তার সঙ্গে এই নাশকতার ছকের কোনও যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ গোয়েন্দা সংস্থার। ইতিমধ্যেই এনআইএ চারজন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে। দ্বারভাঙা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, গত ১৫ জুন দুই জন জঙ্গিকে স্টেশনের বাইরে একটি গাড়ি থেকে নামতেন দেখা যায়। তাঁদের হাতে কাপড়ে জড়ানো কোনও একটি বস্তু ছিল, যা সেকেন্দ্রাবাদগামী ট্রেনের ভিতরে রাখা হয়। দু’দিন বাদে সেই বিস্ফোরকের খোঁজ মেলে। ট্রেন থেকে নামিয়ে আনলেও স্টেশনের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগেই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আইইডি বিস্ফোরণ হয়।তদন্তে নেমেই প্রথমে দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জেরায় জানা যায়, পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাছ থেকে অভিযুক্ত দুইজন ৪.৬ লাখ টাকা পেয়েছিল ট্রেনের ভিতরে আইইডি বিস্ফোরক রাখার জন্য। এরপরই দু’সপ্তাহ আগে জঙ্গি সন্দেহে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ সেলিম ও মহম্মদ কাফিল। জানা গিয়েছে, তাঁরা দুজনই আইএসআইয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। আরও পড়ুন: অধিবেশন শুরুর আগেরদিনই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক ওম বিড়লার, একইদিনে বৈঠক সংসদীয় মন্ত্রকেরও