ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন সাড়ে তিন বছরের শিশুর হাইমেন! নির্যাতনের অভিযোগ নিতে মা-বাবাকে ১১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখল পুলিশ
Police Negligence: সাড়ে তিন বছর ও চার বছরের দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করে স্কুলেরই এক পরিচারক। ১৩ অগস্ট ঘটনাটি ঘটলেও, অভিভাবকরা জানতে পারেন পরেরদিন, যখন নির্যাতিত শিশু স্কুলে যেতে ভয় পায়। তাঁর মুখে স্কুলের 'দাদা'র কীর্তি শুনেই শিশুটির অভিভাবক হাসপাতালে মেডিক্য়াল টেস্ট করাতে ছোটেন।
মুম্বই: সাড়ে তিন বছরের শিশুকে স্কুলে যৌন নির্যাতন, শুনে বিশ্বাসই হল না পুলিশের! অভিযোগ নিতে গড়িমসি, ১১ ঘণ্টা থানাতেই বসিয়ে রাখল পুলিশ। থানের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, অপরাধীর ফাঁসি চেয়ে স্কুলে ভাঙচুর চালায় অভিভাবক ও বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল অবরোধও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। সাড়ে তিন বছর ও চার বছরের দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করে স্কুলেরই এক পরিচারক। ১৩ অগস্ট ঘটনাটি ঘটলেও, অভিভাবকরা জানতে পারেন পরেরদিন, যখন নির্যাতিত শিশু স্কুলে যেতে ভয় পায়। তাঁর মুখে স্কুলের ‘দাদা’র কীর্তি শুনেই শিশুটির অভিভাবক হাসপাতালে মেডিক্য়াল টেস্ট করাতে ছোটেন। রিপোর্টে শিশুটির যৌনাঙ্গের হাইমেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উল্লেখ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ওই শিশুর বয়ান শুনেই আরেক শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরাও জানান, একই ঘটনা ঘটেছে তাঁদের সন্তানের সঙ্গে। গত ১৬ অগস্ট ওই শিশুর অভিভাবক যখন পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান, তখন তাদের ১১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর তাদের এফআইআর নেয় পুলিশ।
নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে তাঁদের অভিযোগে বিশ্বাসই করতে চাইছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু তারা কিছুতেই হাল না ছাড়ায়, শেষে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বিষয়টি জানাজানি হতেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার বলেন, “সাড়ে তিন বছর-চার বছরের শিশুদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য অপরাধ হচ্ছে আর পুলিশ মা-বাবাকে ১১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখছে শুধু অভিযোগ নিতেই… কোনও কি মানবতা নেই? আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যে মহিলা পুলিশকর্মী অভিযোগ নিতে দেরি করেছেন, তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছি।”
শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রিন্সিপাল, ক্লাস টিচার ও একজন পরিচারককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষা দফতরও আলাদাভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)