বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই INDIA জোট নেতাদের বৈঠক, কী কী ইস্যুতে উত্তাল হবে সংসদ?
leaders of INDIA alliance: বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে জোটের সংসদীয় নেতারা এক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকাল ১০টায় কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের সংসদীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে।
নয়া দিল্লি: ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে বিরোধী জোটের চেহারা। পটনার প্রথম বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ১৬টি দল। বেঙ্গালুরুতে দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার এই জোটের নামও দেওয়া হয়েছে – ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। সংসদের বাদল অধিবেশনেও ইন্ডিয়া জোটের নেতারা একসঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাদল অধিবেশন শুরুর আগে, সংসদের ভিতরে সরকারকে কীভাবে যৌথভাবে আক্রমণ করা হবে, সেই কৌশল নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে জোটের সংসদীয় নেতারা এক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংসদের কর্মকাণ্ড শুরুর এক ঘন্টা আগে, সকাল ১০টায় কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের সংসদীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। বিরোধী জোটের যে দলগুলির সংসদে উপস্থিতি আছে, সেই সবকটি দল এই বৈঠকে অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যে ২৬টি দল সোম ও মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকে অংশ নিয়েছিল, সবকটি দলের সংসদে প্রতিনিধি নেই। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের নামকরণের পর, এই প্রথম বিরোধী দলগুলির সংসদের নেতারা বৈঠকে বসছেন। এর আগে বাজেট অধিবেশনের সময়ও দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সেই সময় ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করেছিল। একই বিষয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেও, তাদের কর্মসূচি হত আলাদা আলাদা। তৃণমূল কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস আছে এমন কোনও জোটে আদৌ যোগ দেবে কিনা, তাই নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু, পরপর দুই বৈঠকে বিরোধী দলগুলির ঘনিষ্ঠতা অনেকটাই বেড়েছে। ফলে সংসদে যৌথ আন্দোলন সংঘটিত করাটা এখন অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে বিরোধী দলগুলির যে ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে, সংসদের অন্দরেও তারা সেই ছবিটা ধরে রাখতে আগ্রহী। সংসদে এখন থেকে মোদী সরকার বিরোধী সমস্ত আন্দোলন যৌথভাবেই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরুর সম্মেলনের পর যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনে বিরোধীরা কী কী বিষয় তুলে ধরতে পারে, তারও একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন অধিবেশন উত্তাল হতে পারে মণিপুরের হিংসা নিয়ে। এদিনই, সর্বদল বৈঠকে মোদী সরকারও জানিয়ে দিয়েছে মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত তারা। মণিপুর ছাড়াও বিরোধীরা সংসদ উত্তাল করতে পারে দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে। এছাড়া, রাজনৈতির প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল এবং উপরাজ্যপালদের ভূমিকা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, ঘৃণামূলক প্রচার, দলিত-আদিবাসী-মহিলা উপুর ক্রমবর্ধমান অত্যাচার এবং জাতি ভিত্তিক আদমশুমারির মতো বিষয়গুলি তুলতে পরে বিরোধীরা।