Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Caste-Based Census: জাতি-ভিত্তিক জনগণনায় স্থগিতাদেশ, পটনা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা নীতীশ সরকারের

Caste-Based Census in Bihar: বৃহস্পতিবার (৪ মে), বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক জনগণনার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল পটনা হাইকোর্ট। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা শুরু হয়েছিল।

Caste-Based Census: জাতি-ভিত্তিক জনগণনায় স্থগিতাদেশ, পটনা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা নীতীশ সরকারের
পটনা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল নীতীশ সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 4:34 PM

পটনা: বৃহস্পতিবার (৪ মে), বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক জনগণনার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল পটনা হাইকোর্ট। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা শুরু হয়েছিল। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত, রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তবে, বিহার সরকারের এই উদ্যোগকে পটনা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মোট তিনটি আবেদন জমা পড়েছিল। বুধবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে ওই দিন রায় ঘোষণা করেনি আদালত। পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের বিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, যদি দেখা যায় এই ধরনের সমীক্ষার পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছে, অথবা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না, অথবা যদি কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়, সেই ক্ষেত্রে তাঁরা জাতি-ভিত্তিক জনগণনার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করবেন। ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

মাত্র ৬ দিন আগেই জাতি-ভিত্তিক জনগণনাকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনগুলি অবিলম্বে বিবেচনা করে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এবং মামলাটির নিষ্পত্তি করার জন্য পটনা হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার আবেদনে জাতি-ভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে বিহার রাজ্য সরকারেরের দেওয়া নোটিসটি খারিজ করার দাবি জানানো হয়েছিল। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সংবিধানের সেভেন্থ শিডিউলের লিস্ট ১ অনুযায়ী জনগণনা পরিচালনা করার একমাত্র অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই জনগণনার কর্মীদের নিয়োগ করতে পারে, তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

উপরন্ত, ১৯৪৮ সালের জনগণনা আইন অনুযায়ী জাতির ভিত্তিতে জনগণনা করার কোনও অধিকার নেই। কাজেই, বিহার সরকারের এই নোটিসটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর লঙ্ঘনকারী। একটি আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই নোটিস বেআইনি এবং অসাংবিধানিকই শুধু নয়, এটা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যে আঘাত করার একটা প্রচেষ্টাও বটে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির ভিত্তিতে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বিহারই ভারতের প্রথম রাজ্য, যারা জাতি-ভিত্তি জনগণনা শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, ১৯৩১ সালে শেষবার গোটা ভারতে জাতি-ভিত্তিক জনগণনা পরিচালনা করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এখনও পর্যন্ত দেশের সমস্ত জাতি সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়। সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এই তথ্যই ব্যবহার করা হয়। ২০১১ সালের জনগণনার সময়ও জাতি-ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, কিন্তু, তা কখনই প্রকাশ করা হয়নি। এই তথ্য প্রকাশ নিয়ে বিজেপি সরকারকে বহুবার চ্যালেঞ্জ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে নতুন জোট সরকার গঠনের পরই নীতীশ কুমার এই সমীক্ষার কাজে হাত দিয়েছিবলেন। বিহারের পর ওড়িশাও জাতি-ভিত্তিক জনগণনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে এই কাজে হাত দেবে নবীন পট্টনায়ক সরকার।