Assaulted woman: সারা রাত কাটল পুলিশ ভ্যানে! গণধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলার শারীরিক পরীক্ষা নিয়ে ‘টালবাহানা’

Odisha:

Assaulted woman: সারা রাত কাটল পুলিশ ভ্যানে! গণধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলার শারীরিক পরীক্ষা নিয়ে ‘টালবাহানা’
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 7:17 PM

ওড়িশা: গণধর্ষণের শিকার হওয়া এক মহিলার শারীরিক পরীক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। শারীরিক পরীক্ষা করাতে গিয়ে ওই মহিলাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। শারীরিক পরীক্ষা করাতে ওই মহিলাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে পুলিশ ভ্যানে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আগে একটি সরকারি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝড় জেলায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই গাফিলতির অভিযোগ ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে এই গাফিলতি ঘটেনি বলে সাফাই দিয়েছে পুলিশ। তবে সে জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বয়স ৩৭ বছর। ১৮ জানুয়ারি নিজের তুতো ভাইয়ের সঙ্গে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন তিনি। সে সময় তিন অভিযুক্ত পথ আটকায়। রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলার ভাইকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। একে একে তিন জন ধর্ষণ করে। এর পরই থানায় এফআইআর দায়ের করেন ওই মহিলা।

এফআইআর দায়েরের পর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক হাসপাতালে। কিন্তু ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেনি বলে পরীক্ষা করতে রাজি হননি সেখানকার চিকিৎসকরা। এর পর গণধর্ষণে নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কিন্তু ধর্ষণ পরবর্তী বিস্তারিত মেডিক্যাল পরীক্ষা সেখানে করানো হয়নি। মহিলা চিকিৎসক নেই বলে চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা বলেছেন, “আমাকে বলা হল রাত হয়ে গিয়েছে। মহিলা চিকিৎসক নেই তাই এখন পরীক্ষা করা যাবে না। এর পর আমি পুলিশ ভ্যানে সারারাত বসেছিলাম। পরের দিন আমার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল।”

ঘটনা নিয়ে ওই থানার অফিসার জানিয়েছেন, আইনের জটিলতায় এবং পরিস্থিতির কারণে একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু গাফিলতির জেরে এই ঘটনা ঘটেনি বলে সাফাই তাঁর। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাও ছুটিতে রয়েছেন বলে বিরত থেকেছেন এ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে।