Ashwini Vaishnaw: কোভিড অতিমারিতেও চাঙ্গা ভারতের অর্থনীতি, বাস্তবসম্মত নীতির কথা রেলমন্ত্রীর গলায়

World Economic Forum: অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। অতিমারি এসে কী ভাবে বিশ্বের অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছেন তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Ashwini Vaishnaw: কোভিড অতিমারিতেও চাঙ্গা ভারতের অর্থনীতি, বাস্তবসম্মত নীতির কথা রেলমন্ত্রীর গলায়
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 8:05 PM

দাভোস: কোভিড অতিমারির জেরে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক এবং মানবিক সংকটকে বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছে ভারত। সম্প্রতি এ দাবি করেছেন রেল ও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অতিমারির জেরে উদ্ভূত সঙ্কটের মোকাবিলা করতেও ভারতের নীতিরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সামিটে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্টিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সামিট। সেখানে ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন উলফের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিভিন্ন বিষয়ে। সে সময়ই ভারতের অর্থনীতির ব্যাপারে এই সব মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। অতিমারি এসে কী ভাবে বিশ্বের অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছেন তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। পাশাপাশি এর মোকাবিলা করে ভারত কী ভাবে করেছে তাও জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সামিটে বৈষ্ণব বলেছেন, ”করোনার সময় থেকে খুব বাস্তবিক নীতি নিয়েছিল ভারত। দেশের জনগণকে আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে নজর দিয়েছিল ভারত সরকার। বিনামূল্য খাবার, টিকা দেশের মানুষকে দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সব কাজে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। বাস্তবিক নীতির জেরেই আমরা মূল্যবৃদ্ধির ছোবল থেকে বেঁচে আর্থিক বিকাশের রাস্তায় চলতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন অর্থনৈতিক নীতি এবং টাকা সংক্রান্ত নীতি একে অপরের পরিপূরক। এর জেরেই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।”

অশ্বিনীর গলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে প্রশংসা শোনা গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চ থেকে ফোরামের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবের গলাতেও শোনা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা। ভারতের এই অর্থনীতির ব্যাপারে মোদীর নেতৃত্বের কথা উঠেছিল ওই বিশেষজ্ঞের মুখে। র্থনীতির থমকে থাকা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো একের পর এক বিপর্যয়ের মধ্যেও, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে, মহামারির পর থেকে ভারতের মতো দ্রুত গতিতে, আর কোনও দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটতে দেখা যাচ্ছে না। আর এই সকল ইতিবাচক সূচক দেখে, ভারতকেই আগামীর নেতা বলে মনে করছে বাকি বিশ্ব।