PM Modi-Tejashwi Yadav: ৩২-র তেজস্বীর ‘মধ্য প্রদেশ’ দেখে চিন্তায় ৭১-র ‘ফিট’ প্রধানমন্ত্রী, দিলেন ওজন কমানোর পরামর্শও!

PM Modi-Tejashwi Yadav: তেজস্বীকে ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়ার পরই তাঁর বাবা তথা আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য নিয়েও একাধিক প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

PM Modi-Tejashwi Yadav: ৩২-র তেজস্বীর 'মধ্য প্রদেশ' দেখে চিন্তায় ৭১-র 'ফিট' প্রধানমন্ত্রী, দিলেন ওজন কমানোর পরামর্শও!
তেজস্বী যাদব ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 9:27 AM

পটনা: শুধুমাত্র রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনাই নয়, রাজনৈতিক সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হলে তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়েও যথেষ্ট খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনই এক অনুষ্ঠানে বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা হল প্রধানমন্ত্রীর মোদীর। তেজস্বীর বাড়তি ‘মধ্য প্রদেশ’ দেখেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ওজন কমানোর পরামর্শ দিলেন। হাসিমুখে প্রধানমন্ত্রীর সেই উপদেশ গ্রহণ করতে দেখা যায় তেজস্বীকেও। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তেজস্বীর বাবা তথা আরজেডির সভাপতি লালু প্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার বিহারের বিধানসভা ভবনের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানেই বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা সহ রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলির প্রমুখ নেতারা। উল্লেখ্য, এই প্রথম বিহারের বিধানসভায় পা রাখলেন কোনও প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি নেতা তথা স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার অনুরোধেই তিনি এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে একটি মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মুখোমুখি হতেই তাঁর বাড়তি ওজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওজন কমানোর পরামর্শও দেন তিনি। হাসিমুখে মাথা নাড়েন তেজস্বী। প্রসঙ্গত, ৭১ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত যোগাসন করে নিজেকে সুস্থ রাখেন বলেই জানান। অন্যদিকে, ৩২ বছরের তেজস্বী বাবার হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে একজন পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। দল সামলাতে গিয়েই তাঁকে নিজের পছন্দের পেশা ছাড়তে হয়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি।

তেজস্বীকে ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়ার পরই তাঁর বাবা তথা আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য নিয়েও একাধিক প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। তেজস্বী যাদব প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, এখনও দিল্লির এইমসেই চিকিৎসারত রয়েছেন তাঁর বাবা। তবে বর্তমানে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার থেকে বের করে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও প্রত্যুত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, আমি দেখলাম এখন উনি চেয়ারেও বসতে পারছেন।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই বাড়িতে পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড় ভেঙে যায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। যকৃৎ ও হৃৎযন্ত্রের সমস্যা থাকায় তাঁকে পটনা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। লালু প্রসাদের অসুস্থতার খবর পেয়ে গত সপ্তাহেও তেজস্বী যাদবকে ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।