PM Narendra Modi: এবারের নির্বাচনে দেশের মধ্যে ‘বেস্ট পারফর্মিং’ রাজ্য হবে বাংলাই, আত্মবিশ্বাসী মোদী
PM Narendra Modi: সংবাদসংস্থাকে দেওয়া ইন্টারভিউতে মোদী বলেন, "বাংলার নির্বাচনে তৃণমূল অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখেছেন, আমরা তিন ছিলাম। বাংলার মানুষ আমাদের ৮০তে নিয়ে গিয়েছে। গোটা দেশে 'বেস্ট পারফর্মিং' রাজ্য যদি কেউ হয়, সেটা বাংলা। বিজেপির সর্বাধিক সফলতা বাংলাতেই হচ্ছে।"
নয়া দিল্লি: আর মাত্র বাকি একটা দফা। বাংলার ভোটের ফল নিয়ে চরম আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মোদীর। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে মোদী সাফ বললেন, বিজেপি সব থেকে বেশি সাফল্য পাবে বাংলাতেই। বিধানসভায় বিজেপিকে তিন থেকে আশিতে নিয়ে গিয়েছে বাংলার মানুষ। এখন তৃণমূল কেবলই অস্বিত্ব রক্ষার লড়াই করছেন, তোপ নমোর।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া ইন্টারভিউতে মোদী বলেন, “বাংলার নির্বাচনে তৃণমূল অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখেছেন, আমরা তিন ছিলাম। বাংলার মানুষ আমাদের ৮০তে নিয়ে গিয়েছে। গোটা দেশে ‘বেস্ট পারফর্মিং’ রাজ্য যদি কেউ হয়, সেটা বাংলা। বিজেপির সর্বাধিক সফলতা বাংলাতেই হচ্ছে।”
এবারের বাংলায় ৩০-৩৫ টি আসন বেঁধে দিয়েছেন শাহ-মোদী। প্রত্যেক দফা ভোটের আগে বঙ্গ সফরে এসে সে কথা বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে মাত্র ২টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ঊনিশের লোকসভা ভোটে এক ধাক্কায় সেই সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল ১৮টি তে। আত্মবিশ্বাস চরমে পৌঁছয় গেরুয়া শিবিরের।
তার মধ্যে বাংলার শাসক নেতৃত্বের একাধিক দুর্নীতি যোগের পর্দাফাঁস, কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের মধ্যে সন্দেশখালি পর্ব আরও বেশি করে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব আত্মবিশ্বাসী এবারে বাংলার মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাবেই। তাই আগে থেকেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্বের থেকে দ্বিগুণ নির্ধারিত করেছে বিজেপি। তবে উল্লেখ্য, প্রথমে ৩৫ বললেও, চতুর্থ ও পঞ্চম দফার ভোটের আগে অমিত শাহ বাংলার এসে সেই ‘৩০’এ নামিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, “বাংলার নির্বাচনে মানুষ একদিকে রয়েছে। সরকারে তৃণমূলের বসে থাকা নেতারা ক্ষেপে উঠেছেন। বাংলার হত্যা হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের নির্বাচনের আগে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে বন্দি করে দেওয়া হচ্ছে। এত অত্যাচারের পরও মানুষ বেশি করে ভোট দিচ্ছেন, আর ভোটের হারও বাড়ছে।”
OBC রায়কে হাতিয়ার করেও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন মোদী। তিনি বলেন, “একটা মোডাস অপারেন্ডি রয়েছে। প্রথমে ওরা আইন বানিয়ে সংখ্যালঘুদের শংসাপত্র দেওয়া শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হেরে যান। হাইকোর্ট প্রত্যাখ্যান করে দেয়। কারণ এই নিয়ম তো সংবিধানে নেই। এরপর তাঁরা পিছনের দরজা দিয়ে খেলা শুরু করে। রাতারাতি মুসলিমদের সকলকে OBC বানিয়ে দেয়। OCB শংসাপত্র পাওয়ায় যাঁরা যোগ্য, তাঁরা তাতে বাদ পড়ে যান। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বোঝা যায়, কত বড় মিথ্যা হচ্ছিল এদিন।” আর এর পিছনেও মোদী সরকারি ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিরই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় বিষয় হল, এত বড় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার পরও তিনি এখন বিচারব্যবস্থা, বিচারপতিদেরও গালি দিচ্ছেন। এমনও বলছেন, যা হয়ে যাক, তিনি নাকি আদালতের নির্দেশ মানবেন না।”
মোদীর বিশ্বাস, এই যে পরিস্থিতি বাংলার, তা বাংলার মানুষ কোনওভাবেই মেনে নেবেন না। আর তা ব্যালটের মাধ্যমেই জবাব দেবেন। মোদী বললেন, “আমাদের একটা নতুন দৌড় শুরু হবে। তার মধ্যে সঙ্কেত রয়েছে।” ইন্ডিয়া জোটের নাম না করে মোদীর কটাক্ষ, “যাঁরা নতুন স্বপ্ন দেখে, নতুন দৌড় শুরু করেছিল, তাঁদের কাছেও এটা শেষ দৌড়। কেবল নির্বাচনের নয়, ওদের অস্বিত্বেরই শেষ দৌড়।”