Niti Aayog Meeting: শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন গেহলট-নীতীশও, নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির মমতা সহ ৮ মুখ্য়মন্ত্রী
Niti Aayog Meeting: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এরপরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal), পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান(Bhagwant Mann)-ও জানিয়েছিলেন, তাঁরাও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
নয়া দিল্লি: নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog Meeting) বয়কট আট মুখ্যমন্ত্রীর! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এরপরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal), পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান(Bhagwant Mann)-ও জানিয়েছিলেন, তাঁরাও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এবার আরও তিন মুখ্য়মন্ত্রী সেই তালিকায় যোগ দিলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) জানিয়ে দিলেন, তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। অন্যদিকে, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট(Ashok Gehlot)-ও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
এক নজরে দেখে নিন নীতি আয়োগ বৈঠকের যাবতীয় আপডেট-
- আজ, শনিবার দিল্লিতে বসেছে নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন। প্রগতি ময়দানের নিউ কনভেনশন সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।
- এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হবে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে কীভাবে উন্নত ভারতে পরিণত করা যায় এবং এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
- দিনব্যাপী বৈঠকে মোট আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। এই বিষয়গুলি ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত তৈরি, এমএসএমই, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া, অভিযোগ কমানো, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, এবং সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি৷
- বৈঠকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নররা উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নীতি আয়োগের ভাইস-চেয়ারম্যান পদাধিকারী সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য সদস্যরাও বৈঠকে থাকবেন।
- কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের কারণেই বিভিন্ন বিরোধী দল শাসিত রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান করছেন না। যদিও দিল্লি বাদে কোনও রাজ্য সরকারের তরফেই কেন্দ্র বনাম রাজ্য সরকারের বিরোধকেই বৈঠক এড়ানোর কারণ বলে সরাসরি স্বীকার করেনি।
- রাজ্যের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ মে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও প্রতিনিধিই পাঠানো হচ্ছে না নীতি আয়োগের বৈঠকে।
- অন্যদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও গতকাল চিঠি লিখে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার কথা জানান। সম্প্রতিই কেন্দ্রের তরফে দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে রাখতে যে অধ্যাদেশ আনা হয়, তার বিরোধিতা করেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন বলে জানান।
- আপ শাসিত অপর রাজ্য, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের জন্য বরাদ্দ ৩,৬০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
- শুক্রবার বিহার সরকারের তরফেও জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নীতি আয়োগের অষ্টম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তবে তিনি কেন এই বৈঠকে যোগ দেবেন না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর এনডিএ জোটে থাকা সত্ত্বেও নীতীশ কুমার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি।
- রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি বৈঠকে যাচ্ছেন না।
- অন্যদিকে, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। কী কারণে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না, তা জানাননি।
- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, দিল্লি, পঞ্জাব, কেরল, রাজস্থান ছাড়াও ওড়িশা ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীও এই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেই জানা গিয়েছে।